রাজ্যপালের অপসারণের দাবীতে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি জমা দিল তৃণমূল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সংবিধান মানছেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। পুলিশদের ভয় দেখাচ্ছেন রাজ্যপাল এই দাবীতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যপালের অপসারণের দাবীতে রাষ্ট্রপতিকে স্মারক লিপি জমা দিয়ে ১৫৬ ধারায় অপসারণের দাবী তুলেছে তৃণমূল। বুধবার তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।
তিনি বলেন, প্রথম দিন থেকে রাজ্যসরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের নিয়মিত সংবিধানের সমস্ত মর্যাদাকে কলুষিত করে বিপক্ষে কথা বলছেন রাজ্যপাল। দিল্লির শাহেনশাহদের হয়ে কথা বলছেন রাজ্যপাল। স্পিকারের আচরণে প্রশ্ন তুলছেন তিনি। বিধানসভার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছেন তিনি। সেইসঙ্গে রাজ্যপাল পুলিশদের ভয় দেখাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মন্ত্রীসভার বিপক্ষে কথা বলছেন রাজ্যপাল। এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল পদে জগদীপ ধনকড় আসার পর থেকেই রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত প্রতিনিয়ত লেগেই রয়েছে। রাজ্যপাল একাধিকবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রাজ্যসরকারের মন্ত্রীসভার সদস্যরা এমনকি আমলারা সংবিধান অনুযায়ী কাজ করছেন না অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল। এছাড়াও সরকারের একাধিক পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। পাল্টা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ শাসক দলের মন্ত্রীসভার একাধিক সদস্যকে বলতে শোনা গিয়েছে রাজনৈতিকভাবে অতিসক্রিয় ভুমিকা পালন করছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুনঃ রাজনীতি বুঝিনা , আমি সামান্য শিল্পী, যে ডাকবেন সাড়া দেব- স্বীকারোক্তি বাসুদেব বাউলের
রাজনৈতিক মহলের মতে, এর আগে একাধিক বিষয়ে জানতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তরফে এবিষয়ে কোনও সদর্থক ভুমিকা নজরে আসেনি। এমনকি রাজ্যপালকে একাধিকবার অভিযোগ করতে দেখা যায় যে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কোনও তথ্য দিচ্ছেন না। সরকারী কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত করছেন না। ফলে রাজ্যের তরফে খামতি থেকে যাচ্ছে। অপরপক্ষে রাজ্যের তোলা অভিযোগের সাপেক্ষে কোনও যুক্তি দিতে পারছেন না রাজ্যপাল। দুই তরফে কোনও সমাধান সূত্র না মেলায় দুই পক্ষের মধ্যে সাংবিধানিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্যপাল কতদিন তাঁর অফিসে থাকতে পারবেন তা নির্ধারণ করতে পারবেন। কিন্তু ১৫৬ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কোনও রাজনৈতিক দলের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যপালকে সরিয়ে দিতে পারবেন না। যদিও এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি কি পদক্ষেপ নেবেন, সেটাও দেখার।