অবিলম্বে ইস্তফা দিন অমিত শাহ, সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি সনিয়া গান্ধীর

বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, যখন পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছিল তখন কেন আগের থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি? কেন নামানো হয়নি আধাসেনা?

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আগুন, গুলি এবং গ্যাস। চারিদিকে ধোঁয়া এবং অশান্ত পরিস্থিতির ছাপ স্পষ্ট। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রাজধানীর এহেন পরিস্থিতি নিয়ে এবার সরব হলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। একইসঙ্গে এই পরিস্থিতির জন্য অমিত শাহকে দায়ী করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিও তোলেন তিনি।

বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, যখন পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছিল তখন কেন আগের থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি? কেন নামানো হয়নি আধাসেনা?

আরও পড়ুনঃ রাজধানীতে বাড়ছে মৃত্যু মিছিল, জারি করা হোক কার্ফু, শাহকে চিঠি কেজরিওয়ালের

দিল্লি হিংসার ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলে কংগ্রেস সভানেত্রী জানান, এই ঘটনার পূর্বপরিকল্পিত।পাশাপাশি ষড়যন্ত্রমূলকও। নাম না করেই বিজেপি নেতাদের কাঠগড়ায় তুলে বলেন, কয়েকজন নেতার উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরেই এই ঘটনা ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

পাল্টা টুইট করে কংগ্রেস সভানেত্রীর তোলা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরব হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর। তিনি বলেন এই সময় একে অপরকে দোষারোপ করার নয়।  সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির  উচিৎ একযোগে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করা।

উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে ও বিপক্ষে থাকা দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্রে পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে দিল্লিতে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

বুধবার সকালেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন না করে পরোক্ষে সেনা নামানোর আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

আরও পড়ুনঃ মার্কিন ঘাতক অস্ত্রে ভরতে চলেছে দেশের সামরিক ভান্ডার

প্রসঙ্গত, শুধুমাক্ষ কংগ্রেসই না। অশান্তি মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছেন সিপিএম নেতারা। অমিত শাহের ইস্তফা চেয়ে সোচ্চার হয়েছন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।

অমিত শাহের ইস্তফা ও কপিল মিশ্রকে গ্রেফতারের দাবি করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। টুইটারে লিখেছেন, ‘লজ্জিত বোধ করছি, কপিল মিশ্রকে এখনও গ্রেফতার করা হল না। ওর আরএসএসের প্রভুদের মতো কপিলের নীতিও জানে না, মিশ্র শব্দের অর্থও বোঝে না।’

দিল্লির ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। অন্যদিকে সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিমের করা ভিডিও টুইট নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

অন্যদিকে,দিল্লি হিংসার ঘটনায় চারদিন বাদে টুইটারে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। “আমার ভাই ও বোনেদের দিল্লিতে শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায়ের আবেদন জানাচ্ছি।” বুধবার টুইট করে হিংসা প্রশমনে এমন বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, আমার দফতর পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। আশা করি সবাই শান্তি বজায় রাখবেন।

দিল্লির হিংসা ভয়াবহ রুপ নিতে তামিলনাড়ু সফর বাতিল করে দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরই মাঝে প্রধানমন্ত্রীর শান্তি বজায় রাখার আবেদন কতটা ফলপ্রসূ হয় সেটা সময় বলবে।

সম্পর্কিত পোস্ট