প্রতীক্ষা শেষ, আজ শুরু লোকাল ট্রেন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে নিত্যযাত্রীদের স্বস্তি দিয়ে আজ থেকে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন। কীভাবে লোকাল ট্রেন চলবে তা রাজ্য সরকার ও রেলের তরফে দফায় দফায় আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হয়েছে।

সোম ও মঙ্গলবার পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের কর্তা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

তারপর এদিন ট্রেন চলানোর বিষয়ে ১৬ দফা এসওপি(স্ট্যান্ডার আপারেশন প্রসিডিওর) ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এই ১৬ দফার গাইডলাইনেই ট্রেন চালনায় নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সুরক্ষা সবকিছুই বিস্তারিত বলা হয়েছে।

এই গাইডলাইনে বলা হয়েছে,কোভিড প্রটোকল যাতে মান হয় তার জন্য কড়া ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। যাত্রীদের পাশাপাশি, পুলিশ, সিভিক ভল্যান্টিয়ার, সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার, টিটিই সকলকেই মাস্ক পড়তে হবে। স্টেশন চত্ত্বরে মাস্ক বা ফেসকভার বাধ্যতামূলক।

দীর্ঘ ৭ মাস অপেক্ষার পর চলছে লোকাল ট্রেন-

  • প্রাথমিকভাবে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালানোর কথা।
  • রেল সূত্রের জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ ডিভিশনে আপাতত ৪১৩টি এবং হাওড়া ডিভিশনে ২০২টি ট্রেন চালানো হবে।
  • শিয়ালদহের ৪১৩টি ট্রেনের মধ্যে ২৭০টি চলবে শিয়ালদহ নর্থ এবং ১৪৩টি চলবে শিয়ালদহ সাউথের লাইনে।
  • এই মুহূর্তে সুরক্ষাবিধিতেই সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। প্ল্যাটফর্মে আলাদা ঘর রাখতে হবে।
  • কোনও যাত্রী উপসর্গযুক্ত হলে তাঁকে সেই ঘরে আলাদা করে রেখে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-wheels-of-the-locals-will-roll-at-midnight-10-specific-demands-of-the-railways-to-the-state/

  • প্রতিটি স্টেশনে গণ পরিবহণ যাতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে জেলাগুলিকেই।
  • কাছাকাছি একাধিক স্টেশনের মধ্যেও পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে হবে।
  • লক্ষ্য, ট্রেন থেকে নেমে অন্য পরিবহণের অভাবে যাত্রীদের যাতে স্টেশনেই অপেক্ষা করতে না হয়।
  • আধিকারিক মহলের বক্তব্য, এমনিতে বিনা টিকিটে স্টেশনে কেউ যাতে না ঢুকতে পারেন, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রেলের।
  • কিন্তু স্টেশনে ঢোকা-বেরোনোর জন্য নির্দিষ্ট পথ যাত্রীরা মানছেন কি না, স্টেশনের প্রত্যেককে থার্মাল স্ক্রিনিং নিশ্চিত করা, মাস্কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার, সতর্কতাবিধিগুলির প্রচার ইত্যাদি আচরণবিধিগুলি কঠোর ভাবে পালিত হচ্ছে কি না, তা দেখতে হবে জেলা-কর্তাদেরও।

রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাজ্যের বৈঠকে উভয়ের মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়টি বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পেয়েছিল। কার্যক্ষেত্রে রেলরক্ষী বাহিনী এবং জিআরপি সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করবে।

গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে এই সমন্বয় নিশ্চিত হবে নোডাল অফিসারের তত্ত্বাবধানে। সামগ্রিক এই পদ্ধতিও জেলা প্রশাসনকে দেখভাল করতে হবে।

বস্তুত, এই সব বিষয়ে সহযোগিতা ছাড়া নোডাল অফিসার নিয়োগের প্রস্তাব রাজ্যকে দিয়েছিল রেলও। এ ছাড়া, অবরোধ বা যাত্রী বিক্ষোভের ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপের ব্যাপারে রেল-রাজ্য মন্বয়ের উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে।

রেল সূত্রের খবর, সাধারণ কামরায় হকারেরা এখনই উঠতে না পারলেও বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ট্রেনের ভেন্ডার কামরা বৈধ টিকিট-সহ ব্যবহার করতে পারবেন ব্যবসায়ী-যাত্রীরা। তবে স্টেশন চত্বরে স্টল খোলার অনুমতি এখনই দেওয়া হচ্ছে না।

সম্পর্কিত পোস্ট