তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরির টেন্ডার ডাকল পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তাজপুর গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করার জন্য টেন্ডার ডাকলো পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম। সোমবার সংবাদপত্রে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নিয়ম। বিজ্ঞপ্তিতে পরিবেশবান্ধব এই গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করতে আগ্রহীদের ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে রিকোয়েস্ট ফর কোয়ালিফিকেশন কাম রিকোয়েস্ট ফর পর্টিসিপেশন পত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রাজীব সিনহা আশা করছেন এই গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করতে বিশ্বের সেরা সংস্থাগুলি এই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে। ২০২০ ডিসেম্বর এ বিশ্বের দুটি নাম করা সংস্থা সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি এবং দুবাই পোর্ট ওয়ার্ল্ড এই গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। এই সংস্থা দুটির পরামর্শ ছিল রাস্তা ঘাট সহ প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে নিগম থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য ১ হাজার একর জমি দেওয়া হবে। এই জমি নিয়ে কোনও রকম জটিলতা নেই। এছাড়াও রাজ্য সরকার, নিকটবর্তী হাইওয়ের সঙ্গে বন্দরের সংযোগকারী রাস্তাও তৈরি করে দেবে। বন্দর থেকে রেলের যোগাযোগ যাতে সুষ্ঠভাবে থাকে সে ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এই বন্দরের নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসবে। ২৫ হাজার মানু্ষের কর্ম সংস্থান হবে। এই বন্দর নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়তে ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা খরচ করবে রাজ্য সরকার।
অচলাবস্থা আরজিকরে, ২ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার হুঁশিয়ারী কর্তৃপক্ষের
মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বানিজ্যিক ভবিষ্যত আরও উজ্জ্বল হবে। এই রাজ্য থেকে এখন ১৩ শতাংশ ইস্পাত রপ্তানী হয়। এই বন্দর তৈরি হলে ইস্পাত রপ্তানী বহুলাংশে বেড়ে যাবে। দুই মেদিনীপুর ছাড়াও ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা আমূল পাল্টে যাবে।
এ ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র লাগোয়া এলাকা থেকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও জাপানে সি–ফুড রপ্তানী বাড়বে। প্রয়োজনে এই বন্দরের পাশে আন্তর্জাতিক মানের রপ্তানী কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম এবং পশ্চিমবঙ্গ মেরি টাইম বোর্ড যৌথভাবে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে এই বন্দর গড়ে তুলবে।
কেন্দ্রীয় সরকার এই বন্দরটি তৈরি করবে বললেও তারা দীর্ঘ সময় ধরে প্রকল্পটি ফেলে রেখেছিল। তাই সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকারই এই গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করবে। এদিন টোন্ডারের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেই প্রক্রিয়াই শুরু করে দেওয়া হলো।