রাত পোহালেই গড়াবে লোকালের চাকা, রাজ্যের কাছে ১০ টি নির্দিষ্ট দাবি রেলের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  রাত পোহালেই চালু হবে লোকাল ট্রেন। দফায় দফায় রাজ্যের সঙ্গে রেলের বৈঠকের পর এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে হাওড়া,শিয়ালদহ সহ বিভিন্ন স্টেশনগুলোতে। তবে শেষ মুহূর্তে রেলের পক্ষ থেকে এসওপি সিস্টেমকে মাথায় রেখে রাজ্যের কাছে ফের চিঠি পাঠিয়েছে রেল। যেখানে রাজ্যের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে লোকাল ট্রেন চালাতে চাইছে রেল।

রেলের তরফ থেকে মোট দশটি নির্দিষ্ট তালিকা করে পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে রাজ্যের সাহায্য চেয়ে যাতে করে সুষ্ঠুভাবে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালানো সম্ভব হয় বুধবার থেকে।

১) মেজর স্টেশনগুলোতে নোডাল অফিসার তৈরি করা হোক রাজ্যের পক্ষ থেকে।

২) আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সামাজিক সুরক্ষা বিধি পরিচালনা করুক রাজ্যের রেল পুলিশের সুপাররা।

৩) unauthorized entry exit  রাজ্য পুলিশের সহায়তায় দেখাশোনা করুক আরপিএফ।

৪) access control  এর জন্য পর্যাপ্ত পুলিশের ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার।

৫) প্রয়োজন হলে authorized station based system চালু করুক রাজ্য সরকার।

৬) unauthorized vendor and hawker দের স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।

৭) প্রত্যেকটি স্টেশনের বাইরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিবহনের ব্যবস্থা রাখুক রাজ্য সরকার।

৮) entry and exit barricade করতে সাহায্য করবে রেল।

৯) কোথাও কোনো অবরোধ হলে তারা যেন তৎক্ষণাৎ ও তড়িঘড়ি তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার।

১০) সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা  এবং বিকেল ৪.৩০ থেকে রাত ৮.৩০ পর্যন্ত ৮৪ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালাবে রেল।

এখনো পর্যন্ত রেলের তরফে রাজ্যের কাছে এমনই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। বুধবার ভোর থেকে ফের ছুটবে রাজ্যে লোকাল ট্রেন।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/reconstruction-work-of-majherhat-bridge-on-the-way-to-the-end-firhad-hakim-on-inspection/

করোনা মোকাবিলায় মানতে হবে কী কী?

শহরতলির ট্রেনগুলিতে চলাচলকারী যাত্রীদের মাস্ক বা ফেস কভার পরা বাধ্যতামূলক। যা আগামীকাল থেকে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করবে এবং স্টেশনগুলিতে প্রবেশ ও প্রস্থান কেন্দ্রগুলি যাত্রী চলাচলের সুবিধার জন্য চিহ্নিত করা হবে।

রাজ্য সরকার যাত্রীদের দ্রুত ছত্রভঙ্গ করার সুবিধার্থে স্টেশনগুলি, বিশেষত হাওড়া ও শিয়ালদহতে পর্যাপ্ত সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে।

সমস্ত কোচের স্যানিটাইজেশন দৈনিক ভিত্তিতে করা হবে। টয়লেট বা ওয়াশরুমগুলি পর্যায়ক্রমে স্যানিটাইজড রাখা হবে। এতে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

স্টেশনগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক হ্যান্ড স্যানিটাইজার (স্বয়ংক্রিয় বিতরণকারী) সরবরাহ করা হবে।

প্ল্যাটফর্মগুলির নিয়মিত পরিষ্কার এবং স্যানিটাইজেশন থাকবে। প্ল্যাটফর্মে একটি বিচ্ছিন্ন কক্ষ চিহ্নিত করা হবে যেখানে লক্ষণজনিত ব্যক্তিদের আরও চেকআপের জন্য নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবাতে নিয়ে যাওয়া হবে।

টাইম টেবিলের বিস্তৃত প্রচারের জন্য একটি অভিযান নেওয়া হবে এবং প্রিন্ট / ইলেকট্রনিক / সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য মাধ্যমে যাত্রীদের ট্রেনের পরিষেবা সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি কোভিড -১৯ প্রোটোকল এবং দূরত্ব অনুসরণ করার জন্য পর্যাপ্ত প্রচার এবং সচেতনতা প্রচার চালানো হবে

নির্দিষ্ট স্থানে ডিসপ্লে বোর্ডগুলি যাত্রীদের কোভিডের সাবধানতা অবলম্বন করতে সাবধান করে ইনস্টল করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট