কৃষকদের তিন ঘন্টার ‘চাক্কা জাম’ কর্মসূচীতে শামিল গোটা দেশ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে প্রায় ৭০ দিন ধরে দিল্লির উপকন্ঠে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন কয়েকলক্ষ কৃষক। আন্দোলন কর্মসূচীকে আরও বৃহত্তর করতে শনিবার বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ৩ টে অবধি বেশব্যাপী ‘চাক্কা জাম’ কর্মসূচী স্থির করেছেন কৃষকরা।

তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে দেশের সমস্ত রাজ্যেই শুরু হয়েছে প্রতীকী কর্মসূচী। কেন্দ্রের আনা কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবীতে সরব হয়েছে সংযুক্ত কিশান মোর্চা। এদিন সকাল থেকে রাজধানীকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয় প্যারামিলিটারি ফোর্স।

ইতিমধ্যেই দিল্লির একাধিক জায়গায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দিল্লি-এনসিয়ার জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে ৫০ হাজারের অধিক পুলিশ বাহিনী। কমপক্ষে ১২ মেট্রো স্টেশনে জারি করা হয়েছে হাই এলার্ট।

এদিন বেলা ১২ নাগাদ থেকে ‘চাক্কা জাম’ কর্মসুচী শুরু করেন কৃষকরা। শুরুতেই হরিয়ানার পালওয়াল হাইওয়ে অবরোধ করে আন্দোলন চালান তাঁরা। সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু-কাশ্মীর, এমনকি কর্ণাটকে কৃষকদের সমর্থনে একই প্রতিবাদী কর্মসূচী পালিত হয়।

আরও পড়ুনঃএকদিকে পরিবর্তন যাত্রা অন্যদিকে জনসমর্থন যাত্রা- চৈতন্য প্রভাবিত জেলায় রাজনীতির নয়া সমীকরণ

ব্যাঙ্গালুরুতে প্রায় ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পাঞ্জাব-হরিয়ানার একাধিক সীমান্ত অবরুদ্ধ করে চলে ‘চাক্কা জাম’ কর্মসূচী। বন্ধ করে দেওয়া হয় ছোট রাস্তাগুলি।

ভারতীয় কিশান ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শুকদেব সিং কোকরিকালান জানিয়েছেন, পাঞ্জাবের মধ্যে ১৫ টি জেলার ৩৩ টি জায়গায় এই অবরোধ কর্মসূচী চালিয়ে যাবেন তাঁরা।

এদিন কৃষকদের সমর্থনে অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরের সামনে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা।

সারা দেশজুড়ে কৃষকদের আন্দোলনে সর্মথন জানিয়েছেন কংগ্রেস। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, সারা দেশের স্বার্থে কৃষকরা আন্দোলন করছেন। এই তিন কৃষি আইন শুধুমাত্র কৃষক এবং মজদুরদের জন্য ক্ষতিকারক নয়, সারা দেশের জন্য ক্ষতিকর।

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরশিমরত কৌর বাদল জানিয়েছেন, কৃষি আইন নিয়ে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সারা দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। কেন্দ্র সরকার অন্ধের মতো শুধুমাত্র পাঞ্জাবের নামে দোষ চাপাচ্ছে। তাহলে কারোর কিছু করার নেই।

সম্পর্কিত পোস্ট