গাইঘাটা খুন কান্ডে মৃতের স্ত্রী ও তার প্রেমিক গ্রেফতার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটা গোয়ালবাথানে মৃতদেহ উদ্ধারের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত সুজিত দাস ও মৃতের স্ত্রী স্বপ্না সরকারকে গ্রেপ্তার করে গাইঘাটা থানার পুলিশ। তাদের আজ বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে গত সোমবার রাতে রামকৃষ্ণ কে মাথায় পরপর তিনটি বাড়ি মেরে খুন করেন। পরবর্তীতে বাঁশ বাগানে ফেলে রেখে বাড়িতে চলে আসে। মধ্যরাতে স্বপ্নাকে নিয়ে গিয়ে বাঁশবাগান থেকে বডি উদ্ধার করে সুজিতের ঘরে রাখে।
সেখান থেকে পরবর্তীতে বডি পিস পিস করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার ছক ছিল। সারারাত সুজিতের খাটের নিচে রামকৃষ্ণ মৃতদেহ ছিল এবং খাটের উপরে সুজিত ও সপ্না তার ছেলেকে নিয়ে ছিল। সেখান থেকে সকালে স্বপ্ন বনগাঁর বাড়িতে চলে যায়।
মঙ্গলবার রক্ত দেখে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ালে ভয়ে সুজিত তার খাটের নিচে মাটি খুঁড়ে রামকৃষ্ণ সরকারের দেহ পুরে দেয়। পরবর্তীতে বুধবার পুলিশ এই বডি উদ্ধার করে। এলাকায় পুলিশ ঢুকতেই পালানোর ছক করেছিল সুজিত। পরবর্তীতে তাকে বন্যবেড়িয়ে এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/now-the-state-government-is-blaming-corona-for-the-death-of-a-bjp-worker-benazirs-attack-on-the-ruling-party-by-dilip-ghosh/
ঘটনাস্থল থেকে শাবল, কোদাল রক্তমাখা দুটি জামা, একটি নাইটি, লোহার হাতলযুক্ত চাপড় ও কাঠের টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সুজিত জানাচ্ছে, সোমবার স্বপ্না ও তার স্বামী রামকৃষ্ণ তার বাড়িতে আসে। সেখানে তারা মদ্য পান করে। তারপরে ঘুরতে বেরোয়। সেখান থেকে ফেরার সময় বাড়ির কাছে এসে ভুল বুঝাবুঝির কারণেই রামকৃষ্ণ সুজিতকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ করে সুজিত।
বিষয়টি হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায় বলে জানায় সুজিত। সুজিতের কথায়, রামকৃষ্ণ বাবু লাঠি দিয়ে তাকে মারতে যায়। সেই লাঠি দিয়ে রামকৃষ্ণ বাবুকে সুজিত সজোরে পরপর তিনটি বাড়ি মারে।ঘটনাস্থলে রামকৃষ্ণর মৃত্যুর হয়।
পরে বাঁশ বাগানে নিয়ে গিয়ে মৃতদেহ রাখা হয়। গভীর রাতে স্বপ্নাকে নিয়ে এসে মৃতদেহ বয়ে নিয়ে এসে, প্লাস্টিকে মুড়ে খাটের নিচে রাখে। পরবর্তীতে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দেয় তারা ।