২৭৬ পুরানো বাড়ির পুজো এবার অন্যরকমঃ চন্দ্রনাথ সিনহা
চন্দ্রনাথ সিনহা, মৎসমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ছোটবেলা থেকে আমার পুজোতেই বেশী সময় দিয়েছি। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার পর এমনকি মন্ত্রী হওয়ার পরেও আমার মনে হয়েছে বাড়ির পুজোতেই আসল আনন্দ।
গোটা বাড়ি একসাথে চারটে দিন একেবারে গমগম করে। তাই যতই ব্যস্ত থাকি না কেন, সব কাজ ছেড়ে সপ্তমীর দিন বাড়িতে হাজির হই৷ ২৭৬ বছরের পুজো, আজ অবধি জাঁকজমক কমেনি।
তবে এবারে করোনার কারণে একটু চিন্তা দেখা দিয়েছে। বাড়ি ভর্তি লোক। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি কতটা মেনে চলা হবে সেবিষয়ে সন্দেহ রয়েছে।
আমাদের বাড়িতে একাদশীর দিন খাওয়া দাওয়া হয়। সেটা এবার কিভাবে হবে, সেটা কিভাবে করা হবে সেটা নিয়েও আমরা বেশ চিন্তিত। ষষ্ঠী থেকে একেবারে দ্বাদশী অবধি একটানা সুচী মেনে আসা হচ্ছে ২৭৬ বছর।
করোনার কারণে দেশের যা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তাতে বারোয়ারী পুজোগুলির একটু অসুবিধা হবেই। তবুও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত ৫০,০০০ টাকার অনুদান ঋণের বোঝা অনেকটা লাঘব করে দেবে। আর কিছু না হলেও ছোটখাটো পুজোগুলো এবার রেহাই পাবে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/pujo-grant-politics-or-social-duty/
পুজোতে মাছের চাহিদা থাকে। আমরা লকডাউনে গোটা রাজ্যে যে মাছের চাহিদা ছিল তা মেটাতে পেরেছি। শুধুমাত্র তাই-ই নয়, মাছ কিনতে গিয়ে সাধারণ মানুষের পকেট যাতে গড়ের মাঠ না হয় সেদিকে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ ছিল।
বাজারে কাঁচা আনাজের দাম বাড়লেও মাছের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। আমরা তা যথাযোগ্য পালন করেছি। কলকাতা সহ দুর্গাপুর, আসানসোলের বাজারগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ সরবরাহ করে তার চাহিদা পুরণ করতে পেরেছি। উৎসবে বাঙালির পাতে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ থাকে সেবিষয়েও নজর রেখেছি।
আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ১৪৫০ মেট্রিক টিন ইলিশ আসবে। দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে মাছের বাজারে ইলিশের ঘাটতি পুরণ হবে বলে মনে করছি।