রাস্তায় নেই চল্লিশটি রুটের বাস, ভোগান্তি চরমে যাত্রীদের
![](https://thequiry.com/wp-content/uploads/2020/06/download-3-2.jpg)
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভাড়া না বাড়ালে রাস্তায় বেসরকারি বাস দেখা যাবে না আগেই হুমকি দিয়েছিল বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলি। সেই হুমকিতে কাজ না হওয়ায় এবার শক্তি প্রদর্শনের পথে হাঁটল বাস মালিকেরা।
একদিকে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চললেও লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে বন্ধ করে দিল শহরের একের পর এক বাস রুট।
শুক্রবার বাস মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে রেগুলেটরি কমিটির বৈঠকে বাসাভাড়া বাড়াতে রাজি হয়নি রাজ্য সরকার। তার জেরে সোমবার থেকে শহরের ৪০ টি রুটের বাস মালিকেরা রাস্তা থেকে বাস তুলে নিল।
সূত্রের খবর, একই সঙ্গে তাঁরা এটাও জানিয়ে দেন যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না-হওয়া পর্যন্ত অথবা বাস ভাড়া না-বাড়া পর্যন্ত তাঁরা আর রাস্তায় বাস নামাবেন না।
আর এর ফলেই সোমবার রাস্তায় নেমে চরম ভোগান্তির মুখে পড়ল সাধারণ অফিস যাত্রীরা। বহু জায়গায় দেখা গেল ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ও মিলল না বাস।
ভারত- চীন দ্বন্দ্বের আবহে বিপাকে কলকাতা মেট্রো
আর যে কয়টি সরকারি বাস চলছে তা এই মুহূর্তে যাত্রী পরিবহনের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এটা বুঝেই বাস বসিয়ে দিয়ে সরকারের উপর চাপ বাড়ালো বেসরকারি বাস মালিকেরা।
জানা গিয়েছে, যে ৪০ টি বাস রুটের এদিন বাস বসে গিয়েছে সেগুলি মূলত উত্তর শহরতলির সঙ্গে কলকাতার যােগাযােগ রক্ষা করে।
আবার কিছু রুট আছে এমন রয়েছে, যা উত্তর শহরতলির সঙ্গে হাওড়া, শিয়ালদা, ধর্মতলা বা দক্ষিণ কলকাতার যােগাযােগ রক্ষা করে। এই সব বাসরুট একসঙ্গে বসে যাওয়ায় অফিসের দিনগুলিতে উত্তর শহরতলির মানুষের কাছে যাতায়াত একটা বড় সমস্যা হিসাবে উঠে আসতে চলেছে।
যে ৪০ টি বাসরুট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ২৩০, ২১৪, ২১৪-এ, ৩০-এ, ৩০-এ/১, ২০২ , ৭৮, ৭৮/১, ৩২-এ, ২৩৪, ৩সি/১-সহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রুটের বাস। রয়েছে নাগেরবাজার থেকে ছাড়া ৩ টি বাসরুটও।
এইসব বাসরুটের মালিকদের দাবি, একদিকে বারবার পেট্রোপণ্যের মল মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে যাত্রীসংখ্যা আশানুরূপ না হওয়ায় বাস চালিয়ে খরচ উঠছে না। তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা বাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
একমাত্র ভাড়া-বাড়ালে বাস নামানাে সম্ভব। এই সব বাসরুট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন সমস্যায় পড়তে চলেছেন ডানলপ, সােদপুর বারাকপুর, দমদম,সিথির মােড়, চিড়িয়ামােড়, নাগেরবাজার এলাকার মানুষেরা।
ওই সব রুটের বাস মালিকেরা আরও জানিয়েছেন, টালা ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার পর থেকেই ঘুরপথে বাস চলাতে এমনিতেই ক্ষতির বােঝা বেড়েছে। আর এখন তাে বাসে যাত্রীই হচ্ছে না। এভাবে বাস চালানাে দিনের পর দিন সম্ভব নয়।
অন্যদিকে জয়েন কাউন্সিলর অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,১৯৭৫ সালে যখন পরিবহন ব্যাবসায় এসেছিলাম তখন ডিজেল এর লিটার ছিল ৮০ পয়সা আর বাস ভাড়া ছিল ১০ পয়সা । ১৯৭৫ সালের ১ লা আগস্ট বাস ভাড়া ১০ থেকে ২০ পয়সা হল। শুরু হল আমার চলার রাস্তা। ২০২০ বাস ভাড়া ৭ টাকা আর ডিজেল ৭৪.৩৮ টাকা।এ
ই মুহূর্তে রাজ্যে কোভিড ১৯ বিধি মেনে বাস চালাতে হবে সিমিত যাত্রী নিয়ে। তার উপর স্বাধীনতার পর এই প্রথম দেশে ডিজেল এর দাম ৭৪.৩৮ টাকা।এই পরিস্থিতিতে পরিসেবা দেওয়া সম্ভব।বাস মালিকরা অতি সাধারণ ঘরের মানুষ।
এই মুহূর্তে পরিবেশ পরিস্থিতি উপর বিচার করে বাস ভাড়া বৃদ্ধ ছাড়া বিকল্প কোন রাস্তা নাই।যত তাড়াতাড়ি ভাড়া বাড়বে ততো তাড়াতাড়ি পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।