সরল স্বীকারোক্তি নাকি বেফাঁস মন্তব্য? মমতার মন্ত্রী চন্দ্রনাথকে ঘিরে সর্বত্র প্রশ্ন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ “আমাদের দু-একজন নেতার পদস্খলন হয়েছে। তারা চুরি করছে ঠিকই, শাস্তিও তো দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিজেপি কি করছে….”। শেষের কথাগুলোর দিকে আর কারোরই মন গেল না। সকলের কান টেনে নিল চুরি করা সংক্রান্ত কথাগুলো। কারণ বক্তা যে সে নন।

তিনি রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প ও বস্ত্র দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। বোলপুরের বিধায়ক। রাজ্যের এই মন্ত্রীকে অনুব্রত মণ্ডলের ডানহাত বলে মনে করা হয়। সেই তিনি কিনা প্রকাশ্যে বলে বসলেন দলের কেউ কেউ চুরি করে!

মন্ত্রী মশাই বিজেপিকে নিশানা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তা করতে গিয়ে যে সমস্ত কথা বললেন তাকে সরল স্বীকারোক্তি বলা হবে, নাকি বেফাঁস মন্তব্য বলা ঠিক হবে তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ কটাক্ষ করে বলছেন, চন্দ্রনাথ সিনহা ভুল কিছু বলেননি। যেটা সত্যি সেটাই বলেছেন। শুধু ওই ‘দু-একজন’ কথাটা সরিয়ে দিতে হবে। কারণ চুরিটাই এখন শাসকদলের নিউ ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে!

বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করা তৃণমূল প্রার্থী সত্যিই কি বাংলাদেশের নাগরিক ?

আবার আড়ালে-আবডালে তৃণমূলেরই অনেকে বলছেন, ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়ে এই বর্ষীয়ান মন্ত্রী যে মন্তব্য করলেন তাতে ড্যামেজের পরিমাণ আরও বেড়ে গেল! কারণ বিরোধীরা সার্বিকভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চুরি, দুর্নীতির অভিযোগ তুললেও শাসক দল কখনই তার দায় নিতে চায়নি। কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রিসভার একজন পূর্ণ মন্ত্রী যদি প্রকাশ্যে স্বীকার করে বসেন যে কেউ কেউ চুরি করছেন, তবে বিরোধীদেরই দাবিই স্বীকৃতি পেয়ে যায়!

চন্দ্রনাথ সিনার বক্তব্য ছিল উত্তরপ্রদেশে একের পর এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলের বিরুদ্ধে কৃষকদের গাড়িচাপা দিয়ে খুন করার অভিযোগ আছেশ। যাদের বিরুদ্ধে এমন ভুরি ভুরি অভিযোগ আছে তারা কেন তৃণমূলের খুঁত ধরতে আসছে! আগে নিজের ঘর সামলাক বিজেপি, তারপর অন্যকে নিয়ে কথা বলতে আসবে। কিন্তু তার এই কথার দিকে নজর গেল আর কই। তিনি যে গোড়াতেই বলে বসেছেন তৃণমূলের কেউ কেউ চুরি করে!

সম্পর্কিত পোস্ট