পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে চালু পঞ্চায়েত দফতরের তিন স্কিম
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রায় প্রতিদিন রাজ্যে নিয়ম করে ফিরছে পরিয়ায়ী শ্রমিকরা। এই মুহূর্তে তাদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করাই রাজ্য সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
রাজ্যে সরকারের তরফ থেকে তাদের একটা বড় অংশকে ১০০ দিনের কাজে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে এই পরিকল্পনাই যথেষ্ট নয়।
আর সেকারণেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পঞ্চায়েত দফতর তিনটি বিশেষ প্রকল্প নিয়ে আসছে। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে মূলত পরিযায়ী শ্রমিকদেরি কাজের ব্যবস্থা করা হবে।
রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখােপাধ্যায়ের কথায়, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পরিযায়ী শ্রমিক কর্ম সংস্থান সুনিশ্চিত করতে পরিকল্পনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । সেইমতােই দফতরের তরফে বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হচ্ছে ।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যে ফিরে আসা শ্রমিকদের একটা বড় অংশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ শ্রমিক। তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে ব্যবহার কীভাবে করা যায় তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে । কিন্তু আশু সুফলের জন্য যাতে এই শ্রমিকরা ৪৫০০-৫০০০ টাকা উপার্জন করতে পারে তার জন্যই তিনটি বিশেষ স্কিম চালু হচ্ছে।
উচ্চ মাধ্যমিকের সূচি বদল, দেখে নিন একনজরে
ওয়েস্ট বেঙ্গল কমপ্রিহেনসিভ এড়িয়া ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের (সিএডিসি) আওতায় এই কাজ হবে। সিএডিসি-র এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, রাজ্যে ফিরে আস শ্রমিকদের একটা বড় অংশ দক্ষ শ্রমিক।
যাঁরা অনেকেই এমজিএনআরইজিএ-তে কাজ করতে আগ্রহী নয়, তারা মূলত তিনটি স্কিমের সাহায্য নিতে পারে ।
প্রথম প্যাকেজে তাদেরকে উচ্চ ফলনশীল ধান ও সবজির বিজ বিতরণ করা হবে। আসন্ন বর্ষায় এগুলি চাষ করে তার লাভ পেতে পারে।
দ্বিতীয় প্যাকেজে তাদের মাছ চাষের জন্য সাহয্য করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে চারা মাছের জোগান রাজ্য সরকার দেবে তাদের পুকুরে পালন করে লাভ পেতে পারেন তারা। এক্ষেত্রে তারা চাইলে রঙিন মাছের চাষও করতে পারেন।
আর তৃতীয় ধাপে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে মাটি ছাড়া গাছ তৈরিতে উৎসাহিত করা হবে। এই পদ্ধতি টমেটো, শসা, করােলা ইত্যাদি উৎপাদন সম্ভব।
সিএডিসির ওই কর্তা আরও বলেন, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়ার অযােধ্যা পাহাড়, হুগলির বৈচিতে ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে এই স্কিমের কাজ শুরু হয়ে গেছে।
বাকি জেলা গুলিতেওপরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে একটা ডেটাবেস তৈরি করা হয়েছে। সেই ডেটাবেসের কাজ শেষ হলেও বাকি জেলাগুলিতেও এই স্কিম চালু হবে।