স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডে বেড নেই, রোগী ফেরানোর অভিযোগ বারাসাতের বেসরকারী হাসপাতালের বিরুদ্ধে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে যতই মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারী দিয়ে বলুন না কেন রোগী ফেরানো যাবে না, কিন্তু তাতে আমল বেশীরভাগ বেসরকারী নার্সিংহোম দিচ্ছেনা তা স্পষ্ট।
একটি নয় একদিনে পর পর দুটি অভিযোগের প্রমান মিলল স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে বারাসাতে। বেড নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হল রোগীকে।
সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া শ্রীনগরের বাসিন্দা দিপালী পাল গত দুদিন আগে ব্রেনস্টোকে আক্রান্ত হয়। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।
শনিবার সকালে বারাসতের এই বেসরকারি হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসককে দেখানো হয়। চিকিৎসক ওই হাসপাতালে রোগী ভর্তির পরামর্শ দেন। সেইসময় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সঙ্গে না থাকায় রোগীকে নিয়ে বাড়ী ফিরে আসেন পরিবারের সদস্যরা।
অভিযোগ শনিবার বিকেলে রোগীকে ভর্তি করানো জন্য পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে এলে হাসপাতালের তরফে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে বেড খালি নেই। তাই রোগী ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়।
এরপরেই হতাশ হয়ে পড়ে রোগীর পরিবারের সদস্যরা। সরকারের সাহায্য চেয়ে আবেদন করেন রোগীর পরিবারের।
উত্তরের বিবাদ সামলাতে ময়দানে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, গৌতম দেবকে ফোনে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস
অন্যদিকে বামনগাছির শঙ্করগাছির যুবক চন্দন দাস পথ দুর্ঘটনায় আহত হন। তার পায়ে চোট লাগে। বেশ কয়েক দিন আগে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়ী ফিরে আসেন তিনি।
কিন্তু গত তিন চার দিন ধরে তার সমস্যা আরও বাড়তে থাকায় শুক্রবার বারাসতের ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পরিবার। সেখানেও একই অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডে বেড নেই। বেড খালি হয়েছে কিনা তা শনিবার সকালে ফোন করে জানতে বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই মতো শনিবার সকালে ফোন করলে তারা জানান কোনো বেড খালি নেইষ এখানে চিকিৎসা হবে না। অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তারা।
এরপর ওই যুবককে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যায় রোগীর আত্মীয়রা। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন। বারাসতের এই বেসরকারি হাসপাতালে বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়।
প্রসঙ্গত, লকডাউনের সময় দত্তপুকুরে পথ দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকেও ফেরানোর অভিযোগ উঠেছিলো এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। খবর সম্প্রচারের পর তাকে ভর্তি নিতে চেয়ে ফোন করার মতন ঘটনারও নজির রয়েছে।