বৈঠকে মিলল না কোনও সমাধানসূত্র, আন্দোলন জারি রাখলেন কৃষকরা
দ্য কয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তিন ঘন্টার তৃতীয় বৈঠকে মিলল না কোনও সমাধান সূত্র। আন্দোলন জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিল কৃষকরা।
গত কয়েকদিন ধরে চলা দিল্লি সীমান্তে কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে যে উত্তেজনা বেড়ে চলেছিল তা কমাতেই মঙ্গলবার দুপুর তিনটে নাগাদ দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ৩৫ টি কৃষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার এবং রেল মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল।
এদিনের বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে কমিটি গঠন করার কৃষক সংগঠনের নেতাদের বলা হয়। সদ্য পাশ হওয়া তিন কৃষি আইনে কি কি পরিবর্তন আনতে হবে, তা সেই কমিটি ঠিক করে কন্দ্রের কাছে পেশ করবে। কিন্তু কেন্দ্রের কমিটি গঠন প্রস্তাবে রাজি হননি কৃষক সংগঠনের নেতারা। বরং সকলের মত নিয়েই সিদ্ধান্তে যেতে চাইছেন তাঁরা। ফের ৩ ডিসেম্বর আরও একবার কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে কৃষক সংগঠনগুলি। তার আগে নিজেদের মধ্যে বৈঠক সেরে নিতে চাইছে কৃষকরা।
We appeal to the farmers to suspend the protests and come for the talks. However, this decision depends on farmers’ unions and farmers: Union Agriculture Minister Narendra Singh Tomar https://t.co/gfIKF52ze4
— ANI (@ANI) December 1, 2020
এদিন বৈঠকের শেষে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেন, আমরা আশাবাদী চতুর্থ বৈঠকের পরেই সমাধানসুত্র বেরিয়ে আসবে। আমরা চাই কৃষকরা তাঁদের আন্দোলন তুলে নিন। আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হোক। যদিও পুরো বিষয়টা কৃষকদের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিনের আলোচনা সঠিকভাবে হয়েছে বলে দাবী করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী ।
Today’s meeting was good & some progress was made. During our next meet on 3rd Dec with govt, we’ll convince them that no clause of Farm law is pro-farmer. Our agitation will continue: Prem Singh Bhangu, President, All India Kisan Federation on meeting with Agriculture Minister https://t.co/KlCNhTY6lh pic.twitter.com/dvEwZz00IS
— ANI (@ANI) December 1, 2020
কেন্দ্রের থেকে বুলেট হোক অথবা আলোচনা। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় আমরা রাজি বলেন কৃষক নেতা চান্দা সিং। মঙ্গলবারের বৈঠক কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। আমরা আগামী বৈঠকে জানিয়ে দেবো কৃষকদের ছাড়া কৃষক আইন সম্ভব নয়। সাফ জানিয়ে দিলেন সর্বভারতীয় কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি প্রেম সিং ভাঙ্গু।
ইতিমধ্যেই আগামী দুই দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। ভিন্ন রাজ্য থেকে বাড়ছে আন্দোলনে শামিল হওয়া কৃষকের সংখ্যা।
আরও পড়ুনঃ দেশজুড়ে ‘কালো আইন’ কৃষকদের মৃত্যুর পরোয়ানার সমানঃ হান্নান মোল্লা
শনিবার থেকে বেড়ে চলা আন্দোলনকে মন্দীভূত করতে শর্তসাপেক্ষ বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি কৃষকরা। এরপর থেকেই তিনটি দফায় বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মঙ্গলবার সকালেই বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাসভবনে বৈঠকে বসেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মনে করা হয়েছিল এদিনের বৈঠকে কিছু রফাসুত্র বের হতে পারে। কিন্তু সেই পথে হাঁটলেন না কৃষকরা। বরং সকল কৃষক সংগঠনকে সাথে নিয়েই বৈঠকের প্রস্তাব রাখলেন তাঁরা।