করোনা সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতি হয়নি :তদন্ত রিপোর্ট
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা সরঞ্জাম কেনায় কোনও আর্থিক অনিয়ম হয়নি, বরং সবকিছুই করা হয়েছে স্বচ্ছতার সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেশ করা রিপোর্টে একথাই জানিয়েছে তদন্ত কমিটি।
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্রয়ে আর্থিক অনিয়ম অভিযোগ উঠেছিল। এই খবর পাওয়া মাত্রই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃ্ত্ব তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর নির্দেশ ছিল, সত্যিই দুর্নীতি হলে কাউকেই যেন রেওয়াত করা নয় হয়। সম্প্রতি ওই তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। আর তাতে বলা হয়েছে এখানে কোনও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য এই বিষয়টি নিয়েই ট্যুইটারে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। একাধিক ট্যুইটে আক্রমণ করেছিলেন রাজ্য সরকারকে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট রাজ্যপালের তোলা অভিযোগকে ভিত্তিহীন প্রমাণ করল বলেই নবান্নের খবর।
এই রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে, করোনা- মোকাবিলায় প্রথম দিকে কিছুটা অসুবিধায় পড়তে হয়েছিলো। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এত বড় বিপর্যয় মোকাবিলার অভিজ্ঞতার ঘাটতিই এমন প্রধান কারণ।
অভিজ্ঞতার ঘাটতি কখনোই ‘অনিয়ম বা দুর্নীতি’ হতে পারেনা, রিপোর্টে বলা হয়েছে। তদন্তকারীরা বলেছেন, মাস্ক, স্যানিটাইজার, পিপিই কিট কেনা এবং হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়ন, সব কাজই হয়েছে সরকারি নিয়ম মেনে। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/shovon-is-not-happy-to-get-a-seat-in-the-bjps-state-committee-what-exactly-is-he-looking-for/
উল্লেখ্য, তিনজনের কমিটিতে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং প্রশাসনিক সংস্কার ও কর্মীবর্গ দপ্তরের প্রধান সচিব অর্ণব রায়। রাজভভনের তরফে এই তদন্ত কমিটিকেও কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি রাজ্যপাল। তিনি বলেছিলেন, “যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া দরকার, তাঁরাই তদন্ত করছেন”।
নবান্ন সূত্রে খবর, দিন তিনেক আগে তদন্তের কাজ শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার কাছে রিপোর্ট দাখিল করেছে কমিটি।
করোনা- মোকাবিলায় এখনও পর্যন্ত কী কী কাজ হয়েছে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকাও দাখিল করা হয়েছে। সেই তালিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যে ৮৪টি কোভিড হাসপাতাল গঠন করা হয়েছে।
পিপিই কিট কেনা হয়েছে, স্যানিটাইজার, মাস্ক, গ্লাভস কেনা হয়েছে। কেন্দ্র কিছু সরঞ্জাম পাঠালেও চাহিদা ছিলো তার থেকে অনেক বেশি।
তাই রাজ্যকে বহু জিনিসপত্র কিনতে হয়েছে। গোড়ার দিকে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কিছুটা অগোছালো হয়ে পড়েছিল। পরে তা ঠিক করা হয়েছে।