‘কেউ ছড়া পাবে না’, এ পার্থর হতাশার বহিঃপ্রকাশ, নাকি…
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গত ১১ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অলিখিত নম্বর-টু। তিনি দলের মহাসচিব ছিলেন। প্রবল সংগঠনিক দক্ষতা সম্পন্ন মুকুল রায় বিজেপিতে চলে যাওয়ার পর তৃণমূলের পরিস্থিতি সামলানোর অন্যতম কাণ্ডারী তিনি।
কিন্তু এ কী বৈমাত্রেয় সুলভ আচরণ তাঁর সঙ্গে! অনুব্রত মণ্ডল তাঁরই মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের দুজনের সঙ্গে আচরণের এমন ফারাক থাকবে কেন? এই প্রশ্ন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মনের আনাচে-কানাচে ঘোরাফেরা করতেই পারে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল দুজনকেই গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কিন্তু তাঁদের বেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের আচরণ মোটেও সমান নয়। পার্থকে যখন দুয়োরানী করে কার্যত দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে, তখন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে পাল্টা লড়াইয়ের হুঙ্কার ছেড়েছে। পরিষ্কার, বীরভূমের কেষ্ট তৃণমূলের কাছে শুয়োরানির মর্যাদা পাচ্ছেন। এতে পার্থর গোঁসা হওয়া স্বাভাবিক।
তাই বোধহয় বৃহস্পতিবার তাঁকে ফের আদালতে তুললে, এজলাস কক্ষেই রাজ্যের এই সদ্য প্রাক্তন হেভিওয়েট মন্ত্রী আচমটাই ইংরেজিতে বলেন, ‘কেউ ছাড়া পাবে না’! তবে এটা যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হতাশার বহিঃপ্রকাশ হয় তাহলে ঠিক আছে। নাহলে কিন্তু…
এই ‘কিন্তু’ ঘিরেই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এমন নয় তো, তাঁর সঙ্গে ভিন্ন আচরণ করার ফলে ক্ষিপ্ত পার্থ আর সাত-পাঁচ না ভেবে দলের বাকি দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের যাবতীয় ফন্দিফিকির ফাঁস করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন! সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি আরও অনেকটাই বাড়বে।
শুধু তাই নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এরপর প্রকাশ্যে কোন বেফাঁস মন্তব্য করে বসলে তা প্রমাণ হোক বা না হোক, আমজনতার মধ্যে সেই বিতর্কিত মন্তব্য যে ঝড় তুলবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে পার্থর নতুন হুঙ্কার কিছুটা হলেও চিন্তা বাড়াল তৃণমূল কংগ্রেসের।