এ যেন কুবেরের রত্নভাণ্ডার! পার্থর নিত্য নতুন সম্পত্তির সন্ধান

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী সবচেয়ে বড়লোক দেবতা হলেন কুবের। ধনসম্পদের দেবী লক্ষ্মী হলেও কুবেরের ভাণ্ডারে যা আছে তা দেখলে হয়তো মা লক্ষ্মীও লজ্জা পেতেন! পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থাটা‌ও যেন সেই কুবেরের মতো।

২৩ জুলাই সকালে গ্রেফতার হন তিনি। তারপর থেকে তাঁর নিজের, ঘনিষ্ঠদের নামে এবং সর্বোপরি অর্পিতা মুখার্জির ফ্ল্যাট থেকে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সম্পদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তা রাজ্যের নামি ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের‌ও লজ্জায় ফেলে দিতে পারে বৈকি!

পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় ২৭ বিঘা জমির উপর ছায়া ঝাঁ চকচকে স্কুল, যার নামকরণ প্রয়াত পার্থ পত্নী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে। সেকি আর যে সে স্কুল, বরং তাকে দেখলে ইউরোপের কোন‌ও হেরিটেজ হোটেল বলে ভ্রম হতে পারে! কোটি কোটি অর্থ খরচ করে ১৫ বিঘা জমির উপর যে এই স্কুল তৈরি হয়েছে তা সহজেই বোঝা যায়।

বাকি ১২ বিঘা জমির উপর মন্ত্রী মশাইয়ের আত্মীয়রা নাকি নামি হোটেল, কটেজ তৈরি করছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে প্রত্যন্ত পিংলার এই স্কুলে কে পড়তে যাবে আর কেইবা হোটেলে গিয়ে থাকবে? এর একটাই উত্তর- টাকা থাকলে বড়লোকের অনেক খেয়াল চাপে, হয় ঘোড়া রোগ!

এরই মাঝে শোনা গেল হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় একটা গ্রামের বিপুল অংশ নিয়ে নাকি বাড়ি ঘরদোর বানিয়েছেন অর্পিতা মুখার্জি। এর পিছনে কার মদত আছে তা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই গ্রামে আসলে অর্পিতার মামা বাড়ি। সেখানেই সম্পদ তৈরির নিরাপদ বিনিয়োগ করেছিলেন এই পার্থ ঘনিষ্ঠ।

রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতর পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখতে সমীক্ষার সিদ্ধান্ত

ইডি সূত্রে খবর, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধরে তারা একটি ১৪০ কোটি টাকার বিশাল বাড়ির সন্ধান পেয়েছে, যার নাকি যৌথ মালিকানা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখার্জি নামে দুজনের। কিন্তু এই পার্থ ও অর্পিতা কে তা নিশ্চিত হওয়ার আগে ইডি প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাইছে না।

কসবার রাজডাঙা এলাকায় দাঁড়িয়ে আছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ইচ্ছে’ নামে এক সুবিশাল বাড়ি। পাশাপাশি তিনটি প্লট কিনে নিয়ে তৈরি হয়েছে পার্থর ইচ্ছে! সেখানে অনুষ্ঠান বাড়ি উপলক্ষে ভাড়া নেওয়া হয়, হয় সিনেমার শুটিং। ইচ্ছের বাজারমূল্য যে ১০ কোটির উপর তা না বললেও চলে।

এছাড়াও বারইপুর, পৈলানের মতো বিভিন্ন জায়গাতেও প্রাক্তন মন্ত্রীর সম্পত্তি আছে বলে অনেকেই জানিয়েছেন। এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জির ফ্ল্যাট থেকে যে ২১ কোটি টাকার বেশি নগদ উদ্ধার রয়েছে শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সব মিলিয়ে তাঁর নামে আট থেকে দশটি ফ্ল্যাট আছে বলে খবর।

যদিও ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে এই সম্পত্তির খতিয়ান এত কম নয়। বরং তার তালিকা আরও দীর্ঘ। সবটা খুঁজে বার করতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যাবে!

তাহলে বুঝুন, কেন আমরা কুবেরের ধন বললাম ‌ বরং কোন জাদুবলে একজন মন্ত্রী এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি করলেন তার টিপসটা জানতে পারলে ভালো হয়। তাতে আমজনতাও সেই স্ট্র্যাটিজি মেনে বিনিয়োগ করে একটু স্বাচ্ছল্যের মুখ দেখার সুযোগ পেত আরকি!

সম্পর্কিত পোস্ট