দলে ফিরতে চেয়ে এবার তৃণমূল সুপ্রিমোকে চিঠি দিলেন দিপেন্দু বিশ্বাস
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই বিজেপি থেকে একটা উল্টো স্রোত চলছে। একের পর এক তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া বিজেপি নেতারা আবার তৃণমূলকে ফেরত আসতে চাইছেন। সোনালী গুহ, সরলা মুর্মু, অমল আচার্য দের তালিকা এবার নাম লেখালেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা ফুটবলার দিপেন্দু বিশ্বাস।
নারদকাণ্ডে ফিরহাদ হাকিম সহ চার নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতারের ঘটনায় প্রতিবাদ করে আগেই বিজেপির থেকে পদত্যাগ করেছেন দীপেন্দু বিশ্বাস। এবার ফের পুরনো দলে ফিরতে চেয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন বসিরহাট দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক। নির্বাচনের আগে আবেগের বশবর্তী হয়ে বিজেপিতে যাওয়ার জন্য তৃণমুল নেত্রীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে দলীয় টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বসিরহাট দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক। দলবদলের সময়ে পুরনো দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তবে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েও আশা পূরণ হয়নি এক সময়ে ময়দান কাঁপানো ফুটবলারের।বিধানসভায় প্রার্থী হওয়ার টিকিট মেলেনি।
সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে অবশ্য বিজেপির রাজ্য কমিটির স্থায়ী সদস্যপদ জুটেছিল। তবে বিধানসভা নির্বাচনে হারার পর বিজেপির সঙ্গে ক্রমেই দূরত্ব বাড়ছিল দিপেন্দুর।গত ১৭ মে নারদকাণ্ডে ফিরহাদ হাকিমদের গ্রেফতারের পরেই সিবিআইয়ের ভূমিকার সমালোচনা করে বিজেপির সব পদ থেকে ইস্তফা দেন দীপেন্দু।
তার পর থেকেই তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। সেই জল্পনাকে সত্যি করে অবশেষে তৃণমুল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন বসিরহাট দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক।
ঘরছাড়াদের ফেরাতে কমিটি গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট
হাতে লেখা চিঠিতে দীপেন্দু লিখেছেন, ‘শ্রদ্ধেয়া দিদি, প্রথমেই আমার প্রণাম নেবেন। বেশ কিছুদিন আগে অভিমানে ভুলবশত: আমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তার জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। নির্বাচনের সময়ে আমি মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ি এবং সম্পূর্ণরূপে নিস্ক্রিয় ছিলাম। বিগত দিনে, বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক করে আপনি বসিরহাটের মানুষের সেবা করার যে সুযোগ আমায় দিয়েছিলেন সে জন্য আমি আপনার নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকব।’
এর পাশাপাশি দলে ফিরে আসার ইচ্ছে জানিয়ে বসিরহাট দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক লিখেছেন, ‘এমতাবস্থায় আপনার অনুমতিস্বরূপ ক্ষমা প্রার্থনা করে, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি (দার) হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে আপনার অনুগত সৈনিকরূপে আগামীদিনে উন্নত বাংলা গড়তে চাই।’