এবার কলকাতায় আক্রান্ত ধরা পড়লে প্রতিবেশীদেরও পরীক্ষা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত কয়েকদিন দেখা গিয়েছি টানা শহরে সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তাই এবার করোনা পরীক্ষার পদ্ধতি বদলানো হল।
এবার কলকতার পুরসভার তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শুধু আক্রান্তের নয়, আক্রান্তের প্রতিবেশীদের প্রত্যেকের সোয়াব টেস্ট করা হচ্ছে। র্যানডাম টেস্ট করে সিওর হতে চাইছে পুর কর্তৃপক্ষ। যাতে সংক্রমণ আরও না ছড়ায় তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
এদিনই ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক বাসিন্দার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে তাঁর পাশাপাশি এদিন তাঁর প্রতিবেশীদেরও করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এছাড়া শহরের বাজারগুলিতেও ইতিমধ্যেই লালারস পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। মাইক্রো প্ল্যানিং অনুযায়ী পুর বাজারগুলিতে লালারস সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছে পুর স্বাস্থ্য দফতর।
বহুতল আবাসনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বাজারগুলিকেই সন্দেহের তালিকায় রাখেন।
যোগা,জিম ও সুইমিং পুল খোলার দাবিতে পথে মালিকপক্ষ
তাঁর কথায়, ঘনবসতিপূর্ন এলাকা থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেছে, বহুতল ফ্ল্যাট, আবাসনের বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। কারণ এইসব বাসিন্দা নিয়মিত বাজার করতে যান। তাই বাজারগুলিতে আরও নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাজারগুলিই এখন চিন্তার বিষয় বলে মনে করছে পুরসভা। বাজারের ক্রেতা বিক্রেতা থেকে যাতায়াতকারী সকলের লালারস পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মাইক্রো প্ল্যানিংয়ের মাধ্যমে বাজারগুলিতে লালারস পরীক্ষার কাজ করা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন শিথিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব বাজারই খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাজারগুলিতে ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতা করোনা নিয়ে সরকারি বিধি মানছে কিনা সেদিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।
বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সচেতনতার বার্তা দিলেন জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ ব্যানার্জী
পুর স্বাস্থ্য দফতরের একাংশের মতে আগের কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে বাজার থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বাজার বিক্রেতা আক্রান্ত এমন খবরও এসেছে।
বস্তি, ঘন বসতিপূর্ন এলাকা চিন্তার হলেও, উদাসীনতা বাজারেই বেশি চোখে পড়েছে। তাই বাজারে সুরক্ষা ব্যবস্থা কড়া হওয়া দরকার। তাই বাজারে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।