এবার দল থেকে বহিস্কৃত বৈশালী ডালমিয়া
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজীবের ইস্তফার পর বৈশালী সরব হয়েছিলেন। এত দেখছি এক এক করে সবাই চলে যাচ্ছে, রাজীবদার পিছনে লাগা হচ্ছিল, জ্বালাতন করা হচ্ছিল। ছোট কথা বলা হচ্ছিল। যাঁরা কাজের মানুষ তাঁদের যদি জ্বালাতন করা হয়, তাহলে কাজ করা অসুবিধা।
তিনি বলেন, অনেকেই প্রমাণ ছাড়াই মানুষকে কাদা ছুঁড়ছে। যাঁরা কাদা ছুঁড়ছেন তিনি নিজে কালিমামুক্ত নন। আমি, লক্ষ্মীরতন, রাজীবদা একটা আশা করে এসেছিলাম। আমি ধৈর্য করে আছি।একজন বলছেন যে কিছু যায় আসেনা, তবে যায় আসে।’
বৈশালীর এহেন বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল। অবশেষে দল বিরোধী কাজের অভিযোগ ছিল বালির তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। শুক্রবার তা খতিয়ে দেখতে বৈঠক করে তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সদস্যরা। তারপরই তাঁকে বহিস্কার করল রাজ্যের শাসক দল।
দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গত বেশ কয়েক মাস ধরেই সরব হয়েছিলেন বালির তৃণমূল বিধায়ক। প্রথমে হাওড়া পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিধায়কের মনোমালিন্য দিয়ে বিরোধের সূত্রেপাত। পরে, বালিতে টিম পিকে-র বৈঠক ঘিরে সেই বিরোধ বাড়তে থাকে। প্রকাশ্যেই দলে প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বৈশালী।
মুখ্যমন্ত্রীকে উপেক্ষা করে রাজ্যপালের হাতে ইস্তফা,রাজীবকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ মমতার
তারপর, গত মাসে লক্ষ্মীরতন শুল্কার মন্ত্রিত্ব ত্যাগ ও দল থেকে ইস্তফা প্রসঙ্গেও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে আঙুল তুলেছিলেন বৈশালী। এদিন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার পরও দলের নেতাদেরকেই দায়ী করেন এই বিধায়ক।
আর তাই এদিন বহিস্কারের পর হাওড়ার তৃণমূল নেতা অরূপ রায় বলেন, এমনটা হওয়ারই ছিল। দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন, দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিন বহিস্কারের খবর প্রকাশ্যের আসতেই বৈশালী ডালমিয়া বলেন, দল আমাকে বহিস্কার করলেও, আমি মানুষের পাশে থাকব। মানুষের অসুবিধা হলে আমি বলবই।
এদিন অরূপ রায়ের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন বৈশালী। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন জেলা সভাপতির দায়িত্বে থেকেও মানুষের কাজ করেন নি তিনি এবং আমাদেরও কাজ করতে দেন নি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। মানুষের জনপ্রতিনিধিদের ওপর ক্ষোভ বেড়েছে। এর দায় নিশ্চয় আমার নয়।