এবার ভারত মহাসাগরের তলদেশেও যুদ্ধ – ভারতের সাথে সম্মুখ সমরে চিন
২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ শূন্য করার লক্ষ্য নিয়েছে নয়া দিল্লি। ভারত মহাসাগরের নীচে কোবাল্টের অভাব নেই। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার। বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি তৈরির এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল কোবাল্ট। ভারতের জন্য তো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারত বলেছে, এই অঞ্চলে একটি বিস্তৃত ভূ-ভৌতিক, ভূতাত্ত্বিক, জৈবিক, সমুদ্র বিজ্ঞানগত এবং পরিবেশগত অধ্যয়ন করে ফেরোম্যাঙ্গানিজ ক্রাস্ট খুঁজতে চায়। ১৫ বছরের এক দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটি বা আইএসএ’কে। তিনটি ধাপে এই অনুসন্ধান সম্পন্ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে, ভারতের আবেদন নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি আইএসএ।
গত জানুয়ারি মাসেই জামাইকা ভিত্তিক ‘ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটি’র কাছে, মধ্য ভারত মহাসাগরের ‘আফানাসি নিকিটিন সিমাউন্টে’ কোবল্ট-সমৃদ্ধ ‘ফেরোম্যাঙ্গানিজ ক্রাস্ট’ সন্ধানের অনুমোদন চেয়েছে ভারত। এই সমুদ্র পাহাড়টি ভারতীয় উপকূল থেকে প্রায় ১,৩৫০ মাইল দূরে, মলদ্বীপের পূর্বে অবস্থিত।
বস্তুত, কোবাল্ট সাপ্লাই চেইনে এখন আধিপত্য রয়েছে চিনেরই। গত কয়েক বছর ধরে, ভারত মহাসাগরে ক্রমে বাড়ছে চিনা সমীক্ষা জাহাজগুলির আনাগোনা।