করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে শুধু কলকাতায় বাড়ছে হাজার বেড
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনার ধাক্কা সামাল দিতে আগামী ৭ দিনে ১০০০ বেড বাড়ানোর নির্দেশ মুখ্যসচিবের। সরকারি হাসপাতালে সুপারদের নিয়ে মঙ্গলবার রবীন্দ্রসদনে বৈঠকে বসেন তিনি। যেহেতু কলকাতা ও তার লাগোয়া অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে, তাই এই বৈঠকে কলকাতায় সেফ হোমের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি, সরকারি হাসপাতালে কোভিড বেড বাড়ানোর ব্যাপারেও জোর দিয়েছেন তিনি।
এদিন মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ২২০টি বেড নিয়ে করোনা ওয়ার্ড চালু হবে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। এছাড়া এমআর বাঙুর ও বালটিকুরি ইএসআই হাসপাতালে বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ভোট মিটলেই রাজ্যে করোনার বড় ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে সরকার। সোমবারই রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালের কর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। তাদেরও বেড বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দরকারি পার্কিং ও লবিতেও করোনা রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
রাজ্যজুড়ে বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড বেডের আকাল । পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করেছে রাজ্য সরকার । যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, তাতে বেসরকারি নার্সিংহোমে হাসপাতালগুলিতে বেড পাওয়া নিয়ে অত্যন্ত সংকট দেখা দিয়েছে । রাজ্যজুড়ে বেসরকারি হাসপাতালে ৩১৭০ টি বেড এর মধ্যে আপাতত ফাঁকা ৬০০ টি অর্থাৎ করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত বেডের সিংহভাগই ভর্তি ।
অক্সিজেন ট্যাঙ্কার লিক, ২২ জন করোনা রোগীর মৃত্যু
বড় বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে করোনা বেড সম্পূর্ণ ভর্তি । অ্যাভেলেবেল বেডগুলি মূলত ছোট নার্সিংহোম এবং হাসপাতালে ।কীভাবে বেসরকারি হাসপাতালের বেড বাড়ানো যায়, তার জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে । স্বাস্থ্য সচিব সঞ্জয় বনশলের নেতৃত্বে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে ।
এছাড়া এদিন কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, এসএসকেএম হাসপাতাল লাগোয়া উত্তীর্ণ ভবনে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। সেখানে থাকবে ১০টি অ্যাম্বুল্যান্স। সেখানে ফোন করে কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজনের কথা জানালে রোগীকে কাছাকাছি কোনও সেফ হোমে পৌঁছে দেবেন পুরসভার কর্মীরা।
তিনি এও জানান, এসএসকেএম হাসপাতালের আসে পাশে যত সরকারি হাসপাতাল রয়েছে সব জায়গায় করোনা চিকিৎসায় বেড বাড়ানো হচ্ছে। মোটের উপর এদিন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল রাজ্য প্রশাসন।