তোলা আদায়ের অভিযোগে সাসপেন্ড এগরা থানার ৩ পুলিশ কর্মী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এগরা থানার তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে নাইট পেট্রলিংয়ের নামে রাস্তা আটকে পাইকারি হারে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে তোলা আদায় করছিলেন তারা।

পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল কুমার যাদব জানিয়েছেন সাসপেন্ড যাদের করা হয়েছে তারা হলেন, শাস্তিপ্রাপ্ত এএসআই সুধাংশু সামন্ত, কনস্টেবল সুদীপকুমার দোয়ারি ও মানস মুদি। প্রত্যেকেই এগরা থানায় কর্মরত ছিলেন।

সূত্রের খবর, ১৮ নভেম্বর রাতে ওই তিনজন এগরা-খড়্গপুর রাস্তার কৌরদা এলাকায় টহলদারি গাড়ি নিয়ে রাত পাহারায় ছিলেন। সেই সময় তিন পুলিশ কর্মী গাড়ি আটকে যথেচ্ছ টাকা তোলে বলে অভিযোগ।

সেদিন রাতে সারপ্রাইজ ভিজিটে বেরোন অতিরিক্ত পুলিস সুপার(গ্রামীণ)। তাঁর সামনেই ওই ঘটনা ঘটে। গাড়ির ভিতর থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের রিপোর্ট পেয়ে তিন জনকে সাসপেন্ড করেন এসপি। এসপি সুনীল কুমার যাদব বলেন, লরি আটকে টাকা তোলার ঘটনায় তিমজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাদের লাইনে ক্লোজ করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এবং ওই তিন জনকে পুলিশ এর পোশাক জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মেদিনীপুরের মাটিতে এই ঘটনা প্রথমবার নয়। এর আগেও বারংবার পুলিশের বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠে এসেছে। সেকথা মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রসাশনিক সভায় গিয়ে স্বীকার করেছেন স্বয়ং মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/temperatures-will-drop-from-sunday-with-winter-coming-next-week/

একাধিকবার তিনি পুলিশকে সাবধানও করেছেন। কিন্তু তাতে যে এতটুকুও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি তা এদিনের ঘটনায় পরিস্কার।

উল্লেখ্য, ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের পারদ ক্রমশ উর্ধমুখী। যতই বঙ্গে শীতের আমেজ থাকক না কেন শাসক বিরোধী তরজায় উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।

বিরোধীরা বারবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন তোলা আদায়, বালি পাচার সহ একাধিক বিষয়ে জড়িত থাকার। এমনকি তারা এও দাবি করেছেন যে পুলিশ শাসকদলের এজেন্ট হয়ে কাজ করছে। তাতে শিলমোহর দিয়েছেন স্বয়ং রাজ্যপালও।

এগরার এদিনের ঘটনা কার্যত সেটাই প্রমাণ করল যে বিরোধীদের করা অভিযোগ কতটা সত্য। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অগ্রাহ্য করে কীভাবে এমন কাজ তারা করে তুলেছেন সে প্রশ্নও তুলেছেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

সম্পর্কিত পোস্ট