কৃষি আইন ও আন্দোলন নিয়ে বৈঠকে তৃণমূল-আকালি দল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কৃষকদের পাশে থেকে আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে এই বিল প্রত্যাহার না করলে দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
শনিবার এনডিএর প্রাক্তন সদস্য আকালি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, এদিন দুপুরের তৃণমূল ভবনে কৃষি আইন ও আন্দোলন নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন তিন আকালি দলের সাংসদ। তৃণমূলের তরফে উপস্থিত থাকবেন সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার সিঙ্ঘু বর্ডারে তৃণমূলের তরফে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে যান ডেরেক ও ব্রায়েন। সেখানে কৃষক নেতাদের সঙ্গে চারবার ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কৃষক নেতারা।
গত সেপ্টেম্বরে পাশ হওয়া তিন কৃষক আইনের প্রতিবাদে ৮,৯ এবং ১০ ডিসেম্বর আন্দোলন কর্মসুচী ঠিক করেছে ঘাসফুল শিবির। গান্ধীমুর্তির পাদদেশে চলবে এই কর্মসূচী। বৈঠকের নেতৃত্ব দেবেন বেচারাম মান্না এবং রাজ্যের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। ১০ তারিখ এই আন্দোলনের শামিল হবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।
আরও পড়ুনঃ কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের আগেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আলোচনায় শীর্ষ নেতৃত্ব
সংসদে নয়া কৃষি আইনের পাশ হওয়ার পরেই এনডিএ শিবির থেকে সরে দাঁড়ায় বিজেপির সবচেয়ে প্রাতন সঙ্গী আকালি দল। মোদির ক্যাবিনেট থেকে ইস্তিফা দেন হরশিমরত কৌর বাদল। কিছুদিন আগেই সরকারের কাছে পদ্মবিভুষণ সম্মান ফিরিয়ে দেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আকাল দলের নেতা প্রকাশ সিং বাদল।
যদিও কেন্দ্রের কৃষক আইনের বিরোধিতায় তৃণমূলের পদক্ষেপকে কটাক্ষ করে মন্তব্য গেরুয়া শিবিরের। বিজেপি নেতৃত্বের মন্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এখন কোনও ইস্যু নেই। তাই এখন কৃষি আইনীর বিরোধিতায় সরব হয়েছেন।
পাল্টা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রাঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন, কৃষক ইস্যু নিয়ে নাটক করছে মোদি এবং মমতা। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, রাজনৈতিক নাট্যকার দুটো লোকের কথা বলা হয় মোদি আর দিদি। বাংলায় কোন কৃষক ১৮৬৮ টাকা প্রতি কুইন্টল দামে ধান পান? প্রশ্ন লোকসভার বিরোধী দলনেতার।