কৃষক আইনের প্রতিবাদে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক আকালি দল-তৃণমূলের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার দিল্লির বর্ডারে উপস্থিত কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার তৃণমূল ভবনে আকালি দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন আকালি দলের হয়ে প্রাক্তন সাংসদ প্রেম সিং চন্দ্র মুজরার নেতৃত্বে তিন জনের একটি দল কলকাতায় আসেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও ব্রায়েন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে তিন দিনব্যাপী আন্দোলনে সজামিল হবো। আমরা কৃষকদের ডাকা বনধকে সমর্থন করছি না। কিন্তু আন্দোলনের সমর্থনে কর্মসুচী চলবে।
তিনি আরও বলেন, তৃণমূল সুপ্রিমো ম্মতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের আন্দোলনে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। আন্দোলনকে সমর্থন করে রাজ্যে কাজ শুরু হয়েছে। সংসদে আমরা দাবী করেছিলাম এমএসপি দিতে হবে।
সংসদে পাশ হওয়া তিন কৃষি আইন নিয়তে উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, কৃষি বিল তৈরির আগে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করা দরকার ছিল কেন্দ্র সরকারের। কিন্তু তা হয়নি। কৃষকের সমস্যা না বুঝে আইন আনা হয়েছে। আমাদের নেত্রী এই আইনের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে নতুন আইনও বিতর্কিত। রাজ্যের ক্ষমত্রা কেড়ে নিতে চাইছে কেন্দ্র সরকার।
আরও পড়ুনঃ কৃষি আইন ও আন্দোলন নিয়ে বৈঠকে তৃণমূল-আকালি দল
অন্যদিকে আকালি দলের প্রাক্তন সাংসদ প্রেম সিং বলেন, কৃষকের এই আন্দোলন জন আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। এই আন্দোলনকে কিভাবে আরও শক্তিশালী করা যায়? তা নিয়ে এদিন বৈঠক হয়েছে। কৃষকদের দাবী পুরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলন কিভাবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তাঁর জন্য স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আকালি দলের সদস্য প্রেম সিংয়ের অভিযোগ, কৃষকদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র সরকার। আন্দোলনকে ছোট করে দেখানোর জন্য হিংসার বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। আগামী দিনে সমস্ত রাজনৈতিক দল একসঙ্গে বৈঠক ডেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
লোকসভায় তিন কৃষি বিল পাশ হওয়ার পরেই পাঞ্জাবে কৃষকরা আন্দোলন শুরু করেন। প্রতিবাদে মোদি টু পয়েন্ট ও কেবিনেট থেকে ইস্তফা দেন আকালি দল সাংসদ হরশিমরত কৌর বাদল। এনডিএ শিবির থেকে সরে দাঁড়ায় বিজেপির পুরাতন সাথী। কিছুদিন আগেই সরকারের কাছে পদ্মবিভুষণ সম্মান ফিরিয়ে দেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আকাল দলের নেতা প্রকাশ সিং বাদল।