দলত্যাগীরা ‘হাওয়া মোরগ’, বাংলার মানুষের তাঁদের সঙ্গে থাকবে না- পার্থ চট্টোপাধ্যায়
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সারা দেশের তুলনায় রাজ্যের বেকারত্ব কমেছে বলে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এবং তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এ দিন তৃণমূল ভবনে বসে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, দেশের নিরিখে বাংলায় বেকারত্বের সংখ্যা কমেছে। মমতার নেতৃত্বে বাংলার উন্নয়ন অব্যাহত। খবরে ভেসে থাকতে বিরোধীরা চক্রান্ত করছে। কেউ এসে উন্নয়নের কথা বলছেন না।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন থেকেউন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্পষ্ট ভাবেই তিনি বুঝিয়ে দেন বিরোধীরা যতই ভ্রান্ত প্রচার কুৎসার আশ্রয় নিক না কেন, উন্নয়নের রাস্তা থেকে সরছে না তৃণমূল। নির্বাচন নিয়ে যেতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায়,শুধুমাত্র সংবাদ মাধ্যমে বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন রকমের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বিরোধীরা। অথচ এই কুৎসা অপপ্রচার সত্বেও সরকারি পরিষেবা ও উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে।
তিনি আরও বলেন, কৃষক থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য, স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য যে উন্নয়ন হয়েছে, তা নজিরবিহীন। বাংলা এগোচ্ছে, বাংলা এগোবে। বাংলার আপামর জনসাধারণের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা-ভরসা রয়েছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/north-bengal-medical-college-upgrades-veterinary-hospital-system-union-tourism-minister-prahlad-singh-patel/
তৃণমূল মহাসচিবের অভিযোগ, কিছু মানুষ মনে করছে ইতিহাসকে বদল করা যায়। তাঁরা নিজেদেরই বোকা প্রমাণ করছেন। তারা বাংলার কৃষ্টি-ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দিতে চাইছেন। কিছু বহিরাগত মানুষের এসে রাজ্য জুড়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, তাঁরা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এসব বিরোধিতা- চক্রান্ত কাটিয়েও মানুষকে সঙ্গে নিয়ে উম্পুন-করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এই সরকার। মানুষ দেখেছে মা-মাটি-মানুষের সরকারের পরিশ্রম। কাজেই দিনভর কু-কথা বলে কোনও লাভ হবে না।
এদিন দলবদলূ বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়।পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও নাম না করে আক্রমণ করেছেন তিনি।
পার্থ বাবু বলেন,’যাদের কোনও লক্ষ্য নেই সকালে ঘুম থেকে উঠে চা খেয়ে খেয়ে ধ্বংস করো, কীভাবে বাংলাকে পিছিয়ে ফেলা যায়, কীভাবে বাংলার ঐতিহ্য-গরিমা-সংষ্কৃতিতে কালি লাগানো যায় তার চর্চা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, একজন কেউ এগিয়ে এসে বলছে না যে, বাংলায় আরও উন্নয়ন কীভাবে সম্ভব। কেউ বলছেন না যে বাংলায় বেকারত্বের হার কমছে। চাকরী সুযোগ বাড়ছে। জাতীয় স্তরেও যেখানে ৪৫ বছরের ওপরেও বেকারত্বের হার চূড়ায়।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/shuvendu-could-not-speak-at-the-meeting-in-nandigram/
তাঁর কথায় সেখানে আমরা এখানে আমাদের সাধ্য মতো কর্ম সংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছি। ‘তাই কে প্রথম , কে দ্বিতীয় -এই লড়াই করবার আগে বাংলার মানুষকে ধ্বংস না করে বলা উচিত উন্নয়নের জন্য ‘ বলে জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়।