কর্মসংস্থান থেকে মূল্যবৃদ্ধি, বিপ্লবদেব সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে ঝড় সুস্মিতা-মলয়ের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ত্রিপুরার মাটিতে রাজনৈতিক জমি শক্ত করতে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের আট জেলার ৬০ টি বিধানসভা আসন রীতিমতো চষে বেড়াচ্ছেন এরাজ্যে তৃণমূল নেতৃত্বরা।

সঙ্গে এখন যোগ হয়েছেন সুস্মিতা দেব। ত্রিপুরার মাটি থেকে বিপ্লব দেব সরকারকে উৎখাত করা এখন মূল লক্ষ্য। আগামী ১৫  দিন ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের প্রচার করবেন সুস্মিতা দেব ও মলয় ঘটক ।ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের বাকি এখনো পৌনে দুবছর। তবে এখন থেকেই রণনীতি সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন ঘাসফুল শিবির।

সুস্মিতা দেব জানান,”বিজেপির বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছেন ত্রিপুরায়, তাদেরকে আক্রমণ করা হচ্ছে। অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। কিন্তু বসে থাকলে হবে না। রাস্তায় নেমে করতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে।”

তাঁর কথায়, “হিমন্ত বিশ্বশর্মা কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিজেপিকে সাহায্য করার। সে সময় প্রচারের অংশ হিসাবে মিসডকলের মাধ্যমে প্রত্যেকে চাকরি নিশ্চিত করার কথা বলেছিলেন তিনি। ত্রিপুরা নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর তিনি আর এখানে আসেন নি।”

চাকরি দেওয়ার নাম করে যে প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বিপ্লব সরকার, মূলত সেই ইস্যুকে সামনে রেখেই আন্দোলন করছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই সুস্মিতা দেব চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।

কর্মসংস্থান থেকে মূল্যবৃদ্ধি এই সমস্ত ইস্যুকে সামনে রেখেই আগামী ১৫ দিন লাগাতার প্রচারে ঝড় তুলবে তৃণমূল। একের পর এক কর্মী সভার মাধ্যমে দলে দলে যোগদান করছেন অনেকেই।

২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরার মাটিতে ঘাস ফুল শিবিরের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে এখন থেকেই উঠে-পড়ে লেগেছে তারা। সেই কারণে দলে দলে যে সমস্ত নতুন কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন, রীতিমতো ক্লাস নিয়ে তাদের আন্দোলনের রূপরেখা বোঝানো হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের এই উদ্যোগ কতটা সফল হল ক্রমশ প্রকাশ্য।

সম্পর্কিত পোস্ট