বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করা তৃণমূল প্রার্থী সত্যিই কি বাংলাদেশের নাগরিক ?

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃএকুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু বিজেপির স্বপন মজুমদারের কাছে মাত্র ২,০০৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার। এই হার হজম হয়নি তাঁর। তাই নির্বাচনের ফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন এই তৃণমূল নেত্রী।

কিন্তু শুক্রবার আদালত জানিয়ে দিল আলরানি ভারতীয় নন, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক! তাই তাঁর ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার নেই। এই কথা বলেই ওই তৃণমূল নেত্রীর নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি! এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

শাসকদল হয়েও তৃণমূল কী করে একজন বাংলাদেশি নাগরিককে ভোটে প্রার্থী করল সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সুযোগ আছে ওই তৃণমূল প্রার্থীর। কিন্তু বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ তুলে ধরে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে এবং মন্তব্য করেছে তাতে শুধু আলোরানি সরকার নয় তৃণমূল‌ও বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে।

আদালতের রায় থেকে জানা গিয়েছে আলোরানি সরকার শুধু যে জন্মসূত্রে বাংলাদেশি তাই নয়, সেখানকার ভোটার লিস্টেও তাঁর নাম আছে। তাঁর স্বামীও একজন বাংলাদেশী। তিনি বর্তমানে প্রতিবেশী দেশটিতেই থাকেন। সবমিলিয়ে আলোরানির বাংলাদেশ কানেকশন স্পষ্ট।

এতদিন তবে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন! বাম জমানার নিয়োগ নিয়ে মমতার হুঁশিয়ারিকে কটাক্ষ

তবু তাকে কেন প্রার্থী করল তৃণমূল সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। বনগাঁয় যে শাসকদলের উপযুক্ত নেতা বা প্রার্থী নেই এমনটা কিন্তু নয়। স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা হাইকোর্টের রায় জানতে পেরে দলের ওপর ক্ষুব্ধ বনগাঁর নিচুতলার তৃণমূল কর্মীরাও।

তবে বাংলার রাজনীতিতে বাংলাদেশি নাগরিককে ভোটে প্রার্থী করার অভিযোগ নতুন নয়। ২০০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার থেকে জিতেছিলেন নিশীথ প্রামানিক। রাজনৈতিক জীবন তৃণমূলের হাত ধরেই শুরু হলেও তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েই ছুটে যেতেন। বর্তমানে নিশীথ প্রামানিক কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। সেই তাঁর বিরুদ্ধেও বাংলাদেশের নাগরিকত্বের অভিযোগ আছে!

সম্পর্কিত পোস্ট