মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ অমুলক নয়, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সোমবার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে “বাংলার গর্ব মমতা” -র সুচনা করল তৃণমূল। নেতাজী ইন্ডোরের অনুষ্ঠানেই দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এমনকি উদাহরণ হিসাবে মালদহের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর অভিযোগ যে অমুলক নয়, তা মুখ্যমন্ত্রীর মালদহ সফরের মাঝেই প্রমাণ হয়ে গেল।

বুধবার দলের বুথ স্তরের কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু তারই আগে চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। এখনও অবধি প্রার্থীপদের তালিকা ঘোষণা করেনি তৃণমূল। তারই আগে প্রার্থীর নাম লিখে চলছে দেওয়াল লিখন। শুধুমাত্র তাই নয়, প্রার্থীর হয়ে পুরসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিয়েছেন ইংরেজবাজার পুরসভার পৌরপিতা নীহার রঞ্জন ঘোষ। সেইসঙ্গে দাবি করছেন আসন্ন পুরনির্বাচনে তার ঘোষিত প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নের কান্ডারি হবেন।

সূত্রের খবর, ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপতি বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষের ঘনিষ্ঠ সুজিত সাহা। আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে সুজিতকেই প্রার্থী করতে তৎপর তিনি। তাই দলের ঘোষণার পুর্বেই নিজেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের মাঝেই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ বিধায়কের বিরুদ্ধে

ভিডিও প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর জানান, বিষয়টি তাঁর নজরে আসেনি। এখনও অবধি দল প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি। যিনি একাজ করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে।

অন্যদিকে ইংরেজবাজার পৌরসভার পুরুপতি নিহার রঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি এমন কোনও বক্তব্য দেননি। দল এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি। যদিও তাঁর অনুগামী কি করে নিজেকে ২৩ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী দাবি করছেন? সেবিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আরও পড়ুনঃ বিরাট অঙ্কের টাকার তোলাবাজির অভিযোগ মালদহের দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

এবিষয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী জানিয়েছেন, নিজের মর্জিতে পুরসভা পরিচালনা করেন নিহার রঞ্জন ঘোষ। শুধুমাত্র দলনেত্রীর নির্দেশকেই নয়, পুর আইনকে উপেক্ষা করে পদক্ষেপ নেন তিনি। ইংরেজবাজার পুরসভার ২৩ নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন একজন নাবালক প্রার্থী। আদালতের নির্দেশে ওই ওয়ার্ডটি প্রতিনিধি শূন্য করে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ওই পুরসভার দায়িত্ব বর্তায় পুরপিতা নিহার রঞ্জন ঘোষের ওপর। কিন্তু নিহার রঞ্জন ঘোষ দায়িত্ব দেন সুজিত সাহাকে।

তবে মালদহে যে গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে তা একেবারে পরিষ্কার। সেইসঙ্গে গোষ্টীকোন্দল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ যে সত্য, তা প্রমাণ হয়ে গেল।

সম্পর্কিত পোস্ট