বাম-তৃণমূলের হাতে রইল পেন্সিল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গোয়ায় তৃণমূল কেমন ফল করে সেদিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে ছিল বাংলার মানুষ। প্রথমবার সেখানে লড়াইয়ের নিরিখে একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো ফল হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল গোয়ায় ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
একটি আসন না পেলেও তিনটি কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে আছে তৃণমূল প্রার্থীরা। প্রাপ্তি বলতে এইটুকুই। এর বাইরে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে বাংলার ঝুলি একরকম শূন্য। বিভিন্ন রাজ্যে প্রার্থী দিয়ে তৃণমূলের মতোই হাল হয়েছে বামেদের।
সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন পাঞ্জাব কা পুত্তর হরকিষেন সিং সুরজিৎ। নবরত্নের তিনি অন্যতম। একসময় পাঞ্জাবে শক্তিশালী সংগঠন ছিল তাদের। হালের কৃষক আন্দোলনে সে রাজ্যের হাজার হাজার কৃষক লাল পতাকা নিয়ে লড়াইয়ে সামিল হন।
বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম ও সিপিআই। কিন্তু দিনের শেষে দেখা যাচ্ছে আম আদমি পার্টি ঝাড়ুর ঝড়ে কংগ্রেস, অকালিদের পাশাপাশি বামেরাও পাঞ্জাব থেকে সাফ হয়ে গিয়েছে। তাদের প্রাপ্তির ঝুলি শূন্য।
কেরলের রিপিট টেলিকাস্ট উত্তরাখণ্ডে!
উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশেও প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম। দেশের সর্ববৃহৎ রাজ্যটিতে তারা সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করে। কিন্তু গেরুয়া দাপটে এই রাজ্যেও একটিও আসন জিততে পারেনি বামেরা।
গোয়ায় বামেরা সেভাবে লড়াইয়ে ছিল না। তবে উত্তর-পূর্বের মণিপুরে সমস্ত বামপন্থী দলকে একজোট করে তৃতীয় মোর্চা গড়ে তুলেছিল সিপিএম। অনেকেই আশা করেছিলেন বেশ কয়েকটি আসনে জিতে এবারের নির্বাচনে ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে এই মোর্চা।
কিন্তু দিনের শেষে দেখা যাচ্ছে তারা একটি আসনেও জয়ী হয়নি। উল্লেখ্য গত বিধানসভা নির্বাচনে মণিপুরে তৃণমূলের একজন বিধায়ক ছিলেন
কিন্তু এবারে তাদেরও প্রাপ্তির ঝুলি শূন্য।