হারের ভয়ে পুরভোট চাইছে না তৃণমূল, কটাক্ষ বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ হারের ভয়ে নির্বাচন চাইছেনা তৃণমূল। শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলে এভাবেই বিঁধলেন বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য ও কংগ্রেস নেতা শংকর মালাকারকে।

তাদের দাবি, হারের ভয়ে পুরসভা,মহকুমা পরিষদের নির্বাচন করাতে চাইছে না রাজ্যের শাসক দল। অবিলম্বে শিলিগুড়ি সহ রাজ্যের সমস্ত মেয়াদ উর্ত্তিন পুরসভা ও মহকুমা পরিষদ গুলির নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার বাম-কংগ্রেস যৌথ ভাবে স্মারকলিপি জমা দেয় নির্বাচন আধিকারিক ওরফে মহকুমা শাসক প্রিয়দর্শিনি এসকে।

বিধানসভা সহ পুরসভা, মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে এক সঙ্গে লড়াই করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে এই দুই দল। সেই কারনে ইতিমধ্য কোমর বেঁধে বিভিন্ন কর্মসুচিতে অংশগ্রহন করতে দেখা যাচ্ছে শংকর মালাকার ও অশোক ভট্টাচার্যকে।

জোটের প্রথম কর্মসুচি হিসেবে এই দুই দল বিধানসভা নির্বাচন সহ অন্যান্য নির্বাচন দ্রত করার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন। আগামী জানুয়ারি মাসে এই দুই দল শিলিগুড়িতে জনসভা করার কর্মসুচিও গ্রহন করেছে বলে বাম-কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/dilip-calls-amartya-sen-a-land-thief/

বৃহস্পতিবার এই কর্মসুচিতে উপস্থিত হয়ে অশোক ভট্টাচার্য ও শংকর মালাকার উভয়ই তৃণমুলকে আক্রমন শানেন। তারা জানান, শুধুমাত্র হারের ভয়ে রাজ্যের শাসক দল পুরসভা গুলির নির্বাচন করাতে চাইছে না।

দার্জিলিং জেলা তৃণমুল কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জন সরকার অবশ্য বাম-কংগ্রেসের দাবিকে মান্যতা দিতে নারাজ। তিনি জানান,কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট এই দুই দলের অস্তিত্ব গোটা রাজ্য কেন,দেশেও নেই। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ওই দুই নেতার জামানত বাজেয়াপ্তই শুধু নয় এরা সাইনবোর্ডে পরিনত হবে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের উপর বাড়ছে সাঁড়াশি আক্রমন। বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিদিনই সোশ্যাল মিডিয়াতে বাম-কংগ্রেস আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলকে।

এসবের মাঝেই বুধবার কলকাতায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন শিলিগুড়ি পুরসভার প্রধান প্রশাসক ও প্রাক্তন মন্ত্রী  অশোক ভট্টাচার্য।

এবিষয়ে অশোক বাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এই সাক্ষাৎ নেহাতই সৌজন্য মূলক। তবে তিনি বলেন, সৌরভকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতিতে আসতে বারণ করেছেন। তিনি আরও বলেন, ওকে বলেছি, ক্রিকেটই ওকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে গেছে। দেশের মানুষ চায়, সেটা যেন অব্যাহত থাকে।’’

আগামী দিনে রাজনীতির ময়দানে কী চমক অপেক্ষা করছে সেটা সময়ের অপেক্ষা।

সম্পর্কিত পোস্ট