সাংসদ কল্যাণের ‘কল্যাণে’ দলের অন্দরেই বাড়ছে ক্ষোভ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  বঙ্গ রাজনীতিতে কু-কথার রাজনীতি প্রথার চল শুরু হয়েছিল বাম আমলে। শ্রষ্টা ছিলেন প্রয়াত অনিল বসু। তারপর সেই ধারা কাটায় কাটায় বজায় রেখেছিলের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ কিছু ‘অনুগত সৈনিক’।

অনিল সরনির পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরও একবার কু-কথায় বেনজির আক্রমন করলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণ বাবুর কল্যাণে এখন বাংলার ঘরে ঘরে অনিল বসুর স্মৃতি উন্মোচিত হচ্ছে।

আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ এগিয়ে চলে সংসদের উপর নির্ভর করে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, সাংসদের আচরণ, তার যথোপযুক্ত যুক্তি এবং শালিনতা বজায় রেখে শাণিত বাক্যবাণ বিরোধীদেরও অনেকসময় মুগ্ধ করে তোলেন।

সেখানে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমন করলেন তাতে অবাক হতে হয় বৈকি! সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন আইনজীবিও বটে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/yogi-adityanath-has-a-plan-to-bring-ayodhya-on-the-international-map/

রাজনীতিবিদদের প্রশ্ন, তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেওয়া যায় শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি পিছনে না রেখে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন। তার জনসভায় যা লোক সমাগম হচ্ছে বা যেভাবে তার অনুগামীদের উন্মাদনা চোখে পড়ছে তা সত্যি অনেক রাজনীতিকের কাছে ঈর্ষনীয়।

তবে কল্যাণ বাবুর কাছ তাঁদের প্রশ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি এবং দলের প্রতীক ছাড়া তার গ্রহণযোগ্যতা আদৌ আছে তো?

শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দল। তার সূক্ষ ইঙ্গিত বুঝিয়ে দিচ্ছে অতিশীঘ্রই হয়ত দলে কোন পরিবর্তন আসছে। যেখানে তার একের পর এক মন্তব্যের পরেও খোদ দলনেত্রীকে কোনো জবাব দিতে দেখা যায়নি সেখানে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই কুরুচিকর কথা গুলি বলার ইন্ধন কে দিল?

দলের একাংশ ইতিমধ্যেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন। সরাসরি তাদের প্রশ্ন উনি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক হয়ে কী প্রমাণ করতে চাইছেন ? উনি যখন সরকার পক্ষের হয়ে কোনো মামলা লড়েন তার পারিশ্রমিক থেকে কী উনি কাটছাঁট করেন? উনি সাংসদ হওয়ার নেপথ্যে বড় ভূমিকা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেটা কী উনি ভুলে গিয়েছেন?

এই মুহুর্তে দাঁড়িয়ে দলে কার গুরুত্ব বেশী সেটা বলা খুবই কঠিন। একজন সংগঠন দেখলে অপরজন সর্বদা আইনি প্যাঁচ থেকে দলকে রক্ষা করে স্বচ্ছ্ব ইমেজ তৈরি করেছেন। কিন্তু উপযুক্ত পারিশ্রমিকের খাতায় ফার্স্ট বয় কে হবেন সেটা ওনারাই ভালো বলতে পারবেন৷

তবে তৃণমূলের বন্ধ দরজার আলোচনা যে বাইরে চলে এসেছে সেটা পরিষ্কার। নাহলে, সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের মন্তব্যে শুভেন্দু অধিকারীর পেট্রোল পাম্প এবং চেয়ারের হিসেব আসত না। একইসঙ্গে শুভেন্দুর বর্তমান অবস্থান কোথায় হত সেটা খোলা বাজারে আলোচনা হত না।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/before-isl-mohun-how-prepare-themselves/

শুধু তাই নয়, জল টা এতটাই মাথার উপর দিয়ে বইছে যে, এই ঘটনার পর শুভেন্দুর মানভঙ্গ করতে ২০০ কিলোমিটার দূরে তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। শুভেন্দু বাড়িতে না থাকলেও ফোনে কথা বলেন প্রশান্ত। অর্থাৎ মমতা বন্দোপাধ্যায় ছাড়াও নন্দীগ্রাম আন্দোলন থেকে উঠে আসা শুভেন্দু অধিকারীর গুরুত্ব যে বেড়েছে সেটা বোঝাই গিয়েছে।

সূর্য ওঠে আবার অস্ত-ও যায়। আর আমজনতা সেই তিমিরেই থেকে যায়। তবে ভোট-আধিপত্য কায়েম-ক্ষমতায়নের রাজনীতিই শুধু নয়। শিক্ষিত-সুশীল সমাজ রাজনীতিবিদদের থেকে আশা করেন শালীনতা ও তার রুচিশীল কথনশৈলী।

তবে সেসব এখন বিশ বাঁও জলে। কে কাকে কতটা কু মন্তব্যে আক্রমন করতে পারেন সেটাই চর্চার বিষয়। আগামীদিনে এই বিষয়ে সচেতন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। নাহলে ২১ এর নির্বাচনে পাশা পালটে গেলেও বিন্দুমাত্র অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

সম্পর্কিত পোস্ট