ত্রিপুরায় ‘খেলা হবে’ ধ্বনিতে স্বাগত অভিষেক, CPIM বলছে বিজেপির ‘দোসর’ এসেছে
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: অবশেষে ত্রিপুরায় এলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগরতলায় তিনি পৌঁছতেই প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমের সমর্থনে থাকা সোশ্যাল সাইটে ছড়াল বিজেপি বিরোধী ভোটকে ভাগ করতেই তৃণমূল খেলা শুরু করল। বিরোধী দলের আরও অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস হলো রাজ্যে শাসক দল বিজেপির দোসর। তাদের লক্ষ্য বিরোধী ভোটকে ভেঙে দেওয়া।
সোমবার পূর্ব ঘোষণা মতো তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগরতলায় পৌছতেই উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাংলাভাষী প্রধান রাজ্যটিতে ব্যাপক রাজনৈতিক শোরগোল পড়েছে। যদিও এর আগেই সফর শেষ করেছেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা। তাঁদের উপস্থিতিতে কংগ্রেস ছেড়ে টিএমসিতে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক। তিনি এর আগেও কংগ্রেস ছেড়ে টিএমসি হয়ে বিজেপিতে গেছিলেন। দলটির রাজ্য সহ সভাপতি হয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দল ভারি করার লক্ষ্যে কংগ্রেস ও বিজেপির নেতাদের টিএমসিতে সামিল করানোর চেষ্টা করবে টিম মমতা।
অভিষেক আগরতলায় পৌঁছনোর আগেই পশ্চিমবঙ্গের একগুচ্ছ তৃণমূল যুব নেতা নেত্রীরা ত্রিপুরায় এসেছেন। তাঁরা জানান, এ রাজ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পরিবর্তন হবে আগামী বিধানসভার ভোটে। তবে শাসক দলের বড় শরিক বিজেপির দাবি, ত্রিপুরায় তৃ়ণমূলের কোনও অস্তিত্ব নেই। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই টিএমসির সঙ্গে জোট প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে।
পশ্চিমবঙ্গে পরপর তিনবার সরকার গড়ার পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা অভিযান শুরু করেছেন। তিনি এ রাজ্যেও সরকার গড়তে রাজনৈতিক জমি তৈরিতে দলনেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরেই ত্রিপুরা প্রদেশ টিএমসি ঘুম ভেঙে নড়ে চড়ে বসে।
গত বিধানসভা ভোটের আগে তৎকালীন বিরোধী দল কংগ্রেস ত্যাগ করে বিরোধী বিধায়করা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। সাময়িক সময়ের জন্য বিধানসভায় টিএমসি হয়েছিল প্রধান বিরোধী দল। পরে টিএমসি ছেড়ে সবাই বিজেপি হন। টিএমসি শূন্য হয়ে যায় ত্রিপুরায়। নির্বাচনে টানা ২৫ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের পতন হয়। বিজেপি ও আইপিএফটি জোট সরকার গড়ে।
গত চার বছরে সরকারের অভ্যন্তরে বিজেপির বিধায়কদের প্রবল অসন্তোষ দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে সরব বেশিরভাগ বিধায়ক। বিপ্লব হটাও ত্রিপুরা বাঁচাও ধ্বনি উঠেছে। এই বিদ্রোহী বিধায়করা ফের টিএমসিতে যোগ দেবেন বলেই জানাচ্ছেন প্রদেশ টিএমসি নেতৃত্ব।