ভবানীপুরে মমতা বিরোধী প্রচারে নেই লকেট, টুইটে ধন্যবাদ কুনালের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ সিটের স্বপ্ন দেখেও বিজয় রথের চাকা ৭৭-র গন্ডি পেরোতে পারেনি। এই ভরাডুবির দায় নিয়ে এরপর থেকে ক্ষোভে-বিক্ষোভে পুড়েছে বঙ্গ বিজেপি। দলেরই অনেক বর্ষীয়ান নেতা কেন্দ্রের বেশ কিছু সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছেন। উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রার্থীপদ নিয়েও।

নির্বাচনের পর প্রায় ৫ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেকেই মান-অভিমান ভুলে ফিরছেন তৃণমূলে। মুকুল-বাবুল থেকে শুরু করে একে একে অনেকে। আরও অনেকেই তালিকায় রয়েছেন। আরও বড় সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে বিজেপির জন্য ইঙ্গিত দিয়েছেন ফিরহাদ।

এই পরিস্থিতিতে ভবানীপুরের ভোটের ডঙ্কা বাজিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের প্রচারে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। তারই মাঝে অকস্মাত জল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।

যাকে অনেকেই লড়াকু লকেট বলে অভিহিত করেন। ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে ভোট প্রচারে দেখা যায়নি তাঁকে। আজ সকালেই তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ টুইট করে বলেন, বলেছেন, ভবানীপুরে প্রচারে না যাওয়ার জন্য ‘স্টার ক্যাম্পেনার’ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। বিজেপি অনেক বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও আপনি প্রচারে যাননি। আপনি যেখানেই থাকুন বন্ধু হিসাবে আপনার সাফল্য কামনা করছি।

কুণালের কথায়, দুনিয়াটা খুবই ছোট। আশাকরি সেই দিনটা ফিরে আসবে, যেদিন আপনি রাজনৈতিক ইনিংস শুরু করেছিলেন।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হুগলি থেকে জিতে সাংসদ হন লকেট। যদিও রাজনীতিতে তাঁর পদার্পণ হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের হাত ধরে। তার পর তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন। দীর্ঘ সময় বঙ্গ-বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী হিসেবে কাজ করেছেন।

মোদীর সরকারের মন্ত্রী হিসেবে জল্পনায় বারংবার উঠে এসেছে তাঁর নাম। সেই জল্পনা সত্যি হয়নি। উত্তরাখণ্ড নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে লকেটকে। তাঁকে সেরাজ্যের ‘সহ পর্যবেক্ষক’ করা হয়েছে। জাতীয়স্তরে এই প্রথম তিনি এত বড় কোনও দায়িত্ব পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, লকেটের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে জল্পনা প্রায় ১৫ দিন ধরে। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়েছে বলে খবর ছড়িয়েছিল। তিনি নাকি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যেতে চান। যদিও সে খবর অস্বীকার করেছিলেন হুগলির সাংসদ।

লকেট যাতে সিঙ্গল ফুল ছাড়া না হয় তার জন্য উদ্যোগী হয় গেরুয়া শিবির। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা নয়াদিল্লিতে তাঁর বাসভবনে হুগলির সাংসদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। যদিও সেই বৈঠক নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে রাজি নন লকেট। তবে এদিনের কুনালের পাল্টা জবাবে লকেট কী বলেন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

সম্পর্কিত পোস্ট