বালি পাচার নিয়ে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃপঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই অবৈধ বালি খাদানকে কেন্দ্র করে উত্তাপ বাড়ছে পূর্ব বর্ধমানে। বালি মাফিয়াদের উৎপাতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। শাসকদলের একটা বড় অংশের আশঙ্কা আমজনতা এই নিয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদের সাহস না দেখালেও ভোট বাক্স ঠিক এর জবাব দেবে।
সেক্ষেত্রে শাসক দল হিসেবে তৃণমূলেরই বিপদ যে বারবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অবস্থায় বালি পাচারের সঙ্গে তৃণমূলের একাংশের যোগসাজশ আছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জামালপুরের চকদিঘী পঞ্চায়েতের প্রধান গৌড় সুন্দর মণ্ডল।
তৃণমূলের এই পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, দলের মেজ-সেজ নেতারা বালি-মাটি পাচার করে কোটি কোটি টাকা লুট করছে। তাঁর দাবি জামালপুরে শুধু বালি পাচার নয়, পুকুর-খাল থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটেও পাচার করা হচ্ছে। এই পাচারের সঙ্গে তৃণমূলেরই একাংশ জড়িত। এতে কলঙ্কিত হচ্ছে দল।
যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ করতে হবে, যখন জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে এই বেআইনি কারবার বন্ধ করার চেষ্টা চলছে, জেলাশাসক থেকে শুরু করে পুলিশ সুপার এবং জামালপুর থানার ওসি যখন কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চাইছেন তখন দলেরই কয়েকজন সে সবে পাত্তা না দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করে এই বেআইনি কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।
বালি মাফিয়া-শাসক যোগে নিশ্চিহ্ন হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে বহু গ্রাম
গৌড় সুন্দর মণ্ডল পরিষ্কার জানান, “মাত্র কয়েকজন নেতার এই ধরনের কাজকর্মে লজ্জা হয়। অবাক হয়ে যাই আমাদের নেত্রী যেখানে বহু সংগ্রাম করে এই দলটাকে তৈরি করেছেন, সেখানে একদল লুটেরা বালি ও মাঠির অবৈধ পাচারের কারবার করে তৃণমূলের ভাবমূর্তি মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছে। এদের জন্যই দলের বদনাম হচ্ছে”।
তবে মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলবেই। তার আগে দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্তের উচিত এইসব দুর্নীতিগ্রস্থ ও মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। না হলে ২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে গেলে মানুষ এই নিয়ে আমাদের প্রশ্ন করবে। তখন কিন্তু কোনও উত্তর দেওয়ার থাকবে না।
তার প্রভাব ভোটবাক্সে পড়তে পারে। তৃণমূলের এই পঞ্চায়েত প্রধানের আশা শীঘ্রই প্রশাসন বালি ও মাটি পাচারের অবৈধ কারবার বন্ধ করতে আরও কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটবে। এতে একদিকে যেমন দলের ভাবমূর্তি রক্ষা পাবে তেমনই সাধারণ মানুষও হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে।