মুকুলের হাত ধরে ত্রিপুরা ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল
।। শুভজিৎ চক্রবর্তী ।।
দলে সেকেন্ড ইন কম্যান্ড থাকাকালীন সামেলেছেন ত্রিপুরার দায়িত্ব। প্রায় চার বছর পর ফিরে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে ঘাসফুল ফোঁটাতে ব্যাটন ধরেছেন মুকুল রায়। শোনা যাচ্ছে মুকুল রায়ের হাত ধরেই তৃণমূলে ফিরতে পারেন বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা।
ককবরকের রাজ্যে এমনিতেই টলমল ছিল মুখ্যমন্ত্রীর আসন। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া বিধায়করা ক্ষুব্ধ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ওপর। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তা সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। এখন মুকুল রায়ের দলবদলের পর ফের সুদীপ রায় বর্মন সহ বেশ কিছু নেতার শিবির বদল ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে৷ অনেকে বলছেন, ২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই ঘর গোছাতে শুরু করেছে তৃণমূল৷ যদিও এই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন সুদীপ রায় বর্মন নিজেই। তাঁকে ফোন করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি৷
দলবদলের জল্পনা নিয়ে ত্রিপুরার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার পবিত্র করের মন্তব্য, এটা তো বড় দলগুলির মধ্যে হয়ে থাকে। যখন যারা যেখানে সুবিধা পায় চলে যায়। আগে মুকুল রায় ছিল সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি৷ পরে টিকিট পেয়ে জিতলেন৷ কিন্তু দল ক্ষমতায় না আসার কারণে শিবির বদল করলেন৷ ত্রিপুরায় বামেরা মানুষের সঙ্গে রয়েছে। মানুষ বেরিয়ে আসছে। সমর্থন করছে। একাধিক জায়গায় পার্টি অফিস খোলা হচ্ছে৷ এসবে কোনও প্রভাব পড়বে না৷
রাজনৈতিক মহলের মতে, সুদীপ রায় বর্মন তৃণমূলে গেলে সমস্যায় পড়বে বিজেপি। ত্রিপুরায় মাণিক সরকার ফিরে আসার সম্ভাবনা প্রবল৷ নির্বাচনের প্রচারে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মুখে মাণিক সরকারের সমর্থন অনেকটা তারই ইশারা দিয়েছে। সরকার গঠনে মমতার সমর্থন পেতে পারে বাম শিবিরও।
তবে বিষয়টিকে বিশেষ আমল দেননি প্রদ্যুত দেববর্মা এবং তাঁর দল ত্রিপা৷ তিনি বলেন, কে কোথায় গেল তাতে আমার কিছু আসে বা যায় না৷ না আমি বিজেপির সঙ্গে আছি, না সিপি(আই)এমের সঙ্গে আছি, না আমি কংগ্রেসের সঙ্গে আছি। আমার দল স্বতন্ত্র৷
এবিষয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি আইপিএফটি প্রধান এনসি দেববর্মা৷ তিনি বলেন, জল্পনা চলছে। তবে এবিষয়ে এখনই কিছু বলতে রাজি নন তিনি৷