TMC Organizational Election : নতুন গঠনতন্ত্র মেনে নির্বাচন হবে কিনা সেটাই মূল আকর্ষণ তৃণমূলের সম্মেলনে
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: আজ সকাল এগারোটা থেকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম শুরু হচ্ছে তৃণমূলের দলীয় সম্মেলন। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ঠিক পাঁচ বছরের মাথাতেই এই সম্মেলন হচ্ছে। এখান থেকে দলের শীর্ষ পদাধিকারীদের বেছে নেবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।
তৃণমূল সূত্রের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আবার দলের সর্বোচ্চ পদাধিকারী অর্থাৎ চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হবে। আসলে তৃণমূলে কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধীতা করবেন এটা হতেই পারে না। কারণ এই দলটি তৈরীর জন্য অজস্র আত্মত্যাগ স্বীকার করেছেন তৃণমূলনেত্রী।
কিছু কিছু সূত্র থেকে জানা গিয়েছে বাংলার শাসক দলের দলীয় গঠনতন্ত্রে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটতে পারে। তবে যাই হোক তা সম্মেলনের দলীয় প্রতিনিধিদের সম্মতি নিয়েই করা হবে। পাশাপাশি বাংলার পাশাপাশি গোটা দেশে দলীয় সংগঠনের বিস্তারের বিষয়টি মাথায় রাখা হবে।
কারণ তৃণমূল আজ আর শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের গণ্ডিতে আটকে নেই, বরং তা যথার্থই সর্বভারতীয় দল হয়ে উঠেছে। সম্ভবত সেই কারণেই দলের সর্বোচ্চ ওয়ার্কিং কমিটিতে ব্যাপক আদল বদল হতে পারে। বর্তমানে তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সংখ্যা ২১ জন। মূলত বাংলার নেতাদেরই দাপট আছে সেখানে।
মনে করা হচ্ছে এবারে তৃণমূলের নবগঠিত ওয়ার্কিং কমিটিতে বাংলার নেতাদের পাশাপাশি গোয়া, হরিয়ানা, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের তৃণমূল নেতারা জায়গা পাবেন।
দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার বাম ও কংগ্রেস নেতাদের ফোন করে সম্মেলনে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এই ঘটনাই বুঝিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল বর্তমানে জাতীয় দলে পরিণত হয়েছে। কারণ জাতীয় দলগুলি তাদের সম্মেলনে অন্যান্য দলের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে। যদিও বিভিন্ন কারণে কংগ্রেস বা বাম দলের প্রতিনিধিরা সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন না বলেই খবর।
এবারের সম্মেলনে প্রায় দেড় হাজার তৃণমূল নেতা-কর্মী প্রতিনিধিত্ব করবেন। সভা পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সি। তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ পেতে বিকেল হয়ে যাবে। তবে দলের বাকি পদগুলিতে নির্বাচন হবে কি না সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।