দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রেল বাজেটে বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় অবহেলা নিয়ে সরব হল তৃণমূল। দিল্লিতে এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন।একইভাবে কলকাতার তৃণমূল ভবনে বিষয়টি তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
তিনি বলেন, এখন রেল বাজেট আলাদা করে না হলেও রাজ্যের উন্নয়নে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পগুলিকে উপেক্ষাই করেছে বিজেপি সরকার। তাঁর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভিশন-২০২০ ডকুমেন্ট নিয়ে কোনও পদক্ষেপ এই সরকারের সময়ে নেওয়া হয়নি।
তাঁর অভিযোগ, ২০১৫ সালে রেল প্রকল্পগুলির জন্য এসপিভি শুরু হয়েছিল, যেখানে রাজ্যগুলিকেও প্রকল্প ব্যয়ের অংশ দিতে হবে। পাঞ্জাব ও বাংলার মতো পীড়িত রাজ্যগুলির কী হবে? ২০১৫ সাল অবধি প্রতিটি রেল প্রকল্পতে ১০০ শতাংশতে কেন্দ্র সাহায্য করত। যদিও বিগত কয়েক বছর ধরে এসপিভি নামে একটি নতুন প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে।
সেখানে কী আছে? রাজ্যকে ৫০ শতাংশ এবং রেল দেয় ৫০ শতাংশ। তাঁর প্রশ্ন এমনটা হবে কেন? তারপরে আপনি বলবেন আপনি রাজনীতি করছেন না। ২০২১ সালের বাজেট কিভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে তাও তুলে ধরেন তিনি।
তাঁর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্য জুড়ে তিনি যে এক ডজনের বেশি রেলের কারখানা গড়ার ঘোষণা করেছিলেন, তাদের অধিকাংশের কপালে জুটেছে নামমাত্র অর্থ সাহায্য। গত বাজেটে কাঁচরাপাড়া নতুন রেল কোচ ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট এর জন্য ৭৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এবছর ওই বরাদ্দের পরিমাণ মাত্র হাজার টাকা।
(১০০০টাকা) একইভাবে টিকিয়াপাড়ার কোচিং রিমডেলিং খাতে বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ৫ লক্ষ টাকা। রানাঘাটের ১৫ কামরার ও ব্যান্ডেলের ১২ কামরার মেরামতি কেন্দ্রে এর জন্য একটি টাকাও পায়নি।লিলুয়ায় এসি ওভারহলিং ইউনিট পেয়েছে মাত্র এক কোটি টাকা।কাঁচরাপাড়ার ট্র্যাক মেশিন ওভারহলিং ডিপো গতবার সাড়ে তিন কোটি টাকা পেলেও এ বারে পেয়েছে ১২৫ কোটি টাকা।
সাঁতরাগাছির ইলেকট্রিক লোকোশেড রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র গতবছর ১.৩৫ কোটি পেলেও, এবার প্রাপ্তির ঘর শূন্য।খড়গপুর ওয়াগন ওয়ার্কশপ গতবার ২ কোটি টাকা পেলেও এবার তাদের কপালে একটি টাকাও জোটেনি।
মন্ত্রীর অভিযোগ, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে বাড়তি সাহায্য করা হচ্ছে। ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত গুজরাটের ছোটা উদয়পুর থেকে মধ্যপ্রদেশের ধর পর্যন্ত ১৫৭ কিলোমিটার একটি নতুন রেলপথের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ৫৬০ কোটি বরাদ্দ করেছে।
একই সময়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথের ২০০ কিলোমিটারের বেশি নতুন লাইনগুলির জন্য (বাংলা,ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা জুড়ে) সরকার মাত্র ৭.৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। আর ২০২১-২২ সালে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ মাত্র ১,০০০ টাকা।