সুনীল মন্ডলের গাড়িতে হামলা, অমিত শাহকে চিঠি কৈলাসের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত সপ্তাহের শনিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন বর্ধমান পুর্বের সাংসদ সুনীল মন্ডল। ঠিক তার এক সপ্তাহের মাথায় হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী দফতরের অফিসের সামনে হামলা চালালো তৃণমূল। গোটা ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেন বাংলায় বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

শনিবার সকালে থেকেই হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী দফতরের থেকে কিছুদুরেই বিক্ষোভ কর্মসুচী চালাচ্ছিল তৃণমূল। এদিন বিজপির হেস্টিংসের অফিসে বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারী সহ ৪৩ জনের। আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন অর্জুন সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা।

আরও পড়ুনঃ আমার লজ্জা ২১ বছর ধরে পার্টিটা করেছি, তৃণমূলকে নিশানা শুভেন্দুর

সাংসদ সুনীল মন্ডলের গাড়ি উপস্থিত হতেই তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল সমর্থকরা। প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভ সামলাতে হিমশিম খায় পুলিশ। পুলিশ বাধা দিতে গেলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয় তৃণমূলের। সাংসদ সুনীল মন্ডলকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে বিরাট পুলিশা বাহিনী উপস্থিত হয়ে তা সামাল দেয়। এবং সাংসদ সুনীল মন্ডলকে দফতরে পৌঁছে দেন। গোটা ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির।

গোটা ঘটনার বিবরণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চি্যঠি লেখেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এমনকি ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ভেঙে পড়েছে শনিবারের ঘটনা তার উদাহরণ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন কৈলাস। এমনটাই বিজেপি সূত্রের খবর। একইসঙ্গে কিছুদিন আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগ তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে বিজেপি। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রবণতা বিপজ্জনক বলে দাবী বিজেপি নেতৃত্বের।

অন্যদিকে এই ঘটনাকে স্বতঃস্ফুর্ত বলে দাবী করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। অন্যদিকে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবী, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। যদিও তৃণমূলের দলীয় কর্মসুচী হিসাবেই বিজেপি সদস্যদের বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে বলে দাবী বিক্ষোভকারীদের।

সম্পর্কিত পোস্ট