পুর্ব ভারতের পর পশ্চিম, তৃণমূলের পাখির চোখ গোয়া নির্বাচন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও কনফিডেন্ট তৃণমূল।
পুর্ব ভারতে ত্রিপুরা-অসমের পর এবার পশ্চিম ভারতের গোয়াতে দলীয় পতাকা ওড়াতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ২০২২ এ গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই তোড়জোড় শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির।
এর আগে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে গোয়ার একটি আসনে প্রার্থী হন চার্চিল আলমাও। কিন্তু দলবদল করে এনসিপিতে গেছেন তিনি। সূত্রের খবর, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দিতে চলেছে তৃণমূল।
শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন বেশ কয়েকটি দলের বর্ষীয়ান নেতারাও। তৃণমূলের সঙ্গে কথাবার্তা নিয়ে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস বিধায়ক অ্যাঞ্জেলো ফার্নান্ডেজ।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই গোয়াতে গত দুই সপ্তাহ ধরে রয়েছেন আইপ্যাক কর্মীরা৷ প্রাথমিক স্তরের কাজ শুরু হয়েছে৷ আইপ্যাক কর্মীরা একাধিক রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, সমাজকর্মী এবং ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে সাক্ষাত করছেন বলে জানা গিয়েছে।
অভিষেক-মুকুল বৈঠক, মেঘের দেশে ঘাসফুলের বিস্তার
শোনা যাচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুজিনহো ফেলেরিওকে দলে আনতে চাইছে তৃণমূল। ২০১২ সালে প্রথমবার গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে জোর দিয়েছিল তৃণমূল। সেবার ওয়েলফ্রেড ডি সুজার নেতৃত্বে নির্বাচন লড়েছিল ঘাসফুল শিবির।গত সপ্তাহে গোয়াতে প্রশান্ত কিশোরের উপস্থিতি নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
২০২১ জয়ের পর ২০২৪ এর নির্বাচনে মমতাকেই সারা দেশে প্রধান মোদি বিরোধি মুখ হিসাবে প্রমাণ করতে চাইছে তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত করার পরেই সেই কাজ শুরু করেছে তৃণমূল।
আগামী বছর ৫ টি রাজ্যের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকায় ত্রিপুরা যেমন প্রথম সারীতে রয়েছে, সেই তালিকায় সংযোজন হল গোয়ার নামও।