এবারেও হয়তো স্বপ্নপূরণ হবে না, তবে ত্রিপুরায় ভোট বাড়তে পারে তৃণমূলের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন প্রতিমুহূর্তে রং বদলাচ্ছে। আচমকাই বিপ্লব দেবকে সরিয়ে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়টির সঙ্গে এখনও ধাতস্থ হয়নি রাজ্যবাসী। এরইমধ্যে গত বৃহস্পতিবার সে রাজ্যে চারটে বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়ে গেল।
যা কার্যত সেমিফাইনালের মর্যাদা পেয়েছে ত্রিপুরার মানুষের কাছে। এই উপনির্বাচনে খাতা খোলার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তৃণমূল। তবে পরিস্থিতি বলছে এবারেও হয়তো ত্রিপুরা বিধানসভায় প্রবেশ করা হবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের।
বাংলার পর ত্রিপুরাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। এ রাজ্যের প্রভাবশালী নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে একটু একটু করে সংগঠন গড়ে তুলছে তৃণমূল। সেই শক্তির ওপর ভর করেই নির্বাচনে বিজেপির দিকে তারা বেশ ভালো মতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল।
তবে এখনও ত্রিপুরার মানুষের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস নবাগত একটি দল হয়ে থেকে গিয়েছে। ফলে রাজ্যজুড়ে সারা ফেললেও এখনও সবার মন ছুঁতে পারেনি তারা। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে গেলেও এই যাত্রায় তৃণমূলের আসন জেতা হবে না বলেই দেখা যাচ্ছে ভোট-পরবর্তী সমীক্ষায়।
ভোটের ফল প্রকাশের আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের করা সমীক্ষা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, সাধারণ মানুষের ভোটেই হোক আর নিজেদের বাইক বাহিনীর দাপটে, এই সেমিফাইনালে বিজেপিকে কাবু করা যাচ্ছে না। অন্তত বরদোয়ালি কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার জয় নিশ্চিত বলে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে আগরতলা-৬, যুবরাজনগর ও সুরমায় বিরোধীদের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বিজেপির।
‘ব্ল্যাকমেল করে টাকা নিয়েছেন’, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের অভিযোগের জবাব দিলেন না শুভেন্দু
আগরতলা-৬ আসনটিতে কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মন জিতে যেতেও পারেন। তবে সামান্য ব্যবধানে তাঁর পরাজয়ের সম্ভাবনাও আছে। যুবরাজনগরে সিপিএমের সঙ্গে এবং সুরমায় তিপ্রা মথার সঙ্গে বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে।
যদিও এই পূর্বাভাস সত্যি হলেও তৃণমূলের একেবারে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ তাদের ভোট বেশ কিছুটা বাড়বে বলেই অনুমান। তাছাড়া ভোটের দিন সুরমায় তৃণমূল প্রার্থীর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে সে রাজ্যে ক্রমশ ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে তারা।