সন্ত্রাসে ইন্ধন জোগানো তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে কোচবিহারে পথ অবরোধ বিজেপির
৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর প্রায় ২ঘন্টা পথ অবরোধের শামিল হলেন বিজেপি রাজ্য সম্পাদক রাজু ব্যানার্জি। উপস্থিত ছিলেন দলের কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা সহ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
দ্য় কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিজেপি কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, সন্ত্রাসে ইন্ধন জোগানো তৃণমূল নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার কোচবিহার তুফানগঞ্জ ১নং ব্লকের দেওচড়াই মোড় এলাকায় পথ অবরোধ।
৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর প্রায় ২ঘন্টা পথ অবরোধের শামিল হলেন বিজেপি রাজ্য সম্পাদক রাজু ব্যানার্জি। উপস্থিত ছিলেন দলের কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা সহ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
আরও পড়ুনঃ সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ আজ, দুশ্চিন্তায় তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলর
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তারা।
রবিবার রাতে তুফানগঞ্জ ১ নং ব্লকের দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চুলকানি বাজার গ্রামের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত কাজী রাহুল হোসেন এর ২ বিঘা জমিতে লাগানো চাইনিজ ধান ট্রাক্টর চালিয়ে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সোমবার এই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার উদ্দেশ্যে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রওনা হন বিজেপি রাজ্য সম্পাদক রাজু ব্যানার্জি, দলের কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা সহ বিজেপি কর্মীরা।
কিন্তু দেওচড়াইয়ে ঢোকার মুখেই তৃণমূল নেতা ফারুক মন্ডলের নেতৃত্বে তাদের পথ আটকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত মালদহের চাঁচল
কার্যত সংশ্লিষ্ট এলাকার থেকে ফিরে আসতে হয় তাদের। এই সময় বেলা বারোটা নাগাদ সংশ্লিষ্ট তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার সহ দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এই ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর অবরোধ শুরু করেন বিজেপি নেতা ও কর্মীরা।
এই পথ অবরোধের ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগে পড়েন আমজমতা। বেলা বারোটা থেকে বেলা প্রায় দুটো পর্যন্ত চলে এই অবরোধ।
পরবর্তীতে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিক রাহুল তালুকদারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এলে পুলিশি আশ্বাসে এই অবরোধ তুলে নেন বিজেপি নেতারা।
যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা ফারুক মন্ডল। তিনি জানান, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন যোগ নেই। এটা সংশ্লিষ্ট এই ব্যক্তির পারিবারিক বিষয়। এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি।