পর্যালোচনা বৈঠকের দিনবদল কোনও বড় যোগদানের সম্ভাবনা নয় তো!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শেষ মুহুর্তে পিছিয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের রবিবাসরীয় পর্যালোচনা বৈঠক। এদিন ভার্চুয়ালি এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকে দলের সব বিধায়কদের থাকতে বলা হয়েছিল। বৈঠকে থাকার কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের।
কিন্তু এদিন শাসক দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়ে এই বৈঠক পিছিয়ে গান্ধি জয়ন্তীর দিন অর্থাৎ ২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
একই সঙ্গে এদিনের বৈঠক পিছিয়ে দেওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে উঠে এসেছে ভিন্ন দল থেকে কয়েকজন হেভিওয়েট নেতার তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনাও।
শনিবারই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁদের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেছেন। সেখানে প্রবীণ ও পুরাতন মুখগুলিকে বাদ দিয়ে নতুন ও তরুণ মুখকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সেই বদলে মুকুল রায় ও অনুপম হাজরার নাম যেমন পদপ্রাপ্তির তালিকায় ঢুকে পড়েছে।
অন্যদিকে বাদ পড়েছেন রাহুল সিনহার মতো এই রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিদের নামও। ওই ঘটনার পর তিনি মাত্র ৫০ সেকেন্ডের এক ভিডিয়ো বার্তায় দলকে সময় দিয়েছেন। আর তারপর থেকেই জল্পনা ছড়িয়েছে হয়তো খুব শীঘ্রই রাজ্য বিজেপির এই প্রাক্তন সভাপতিকে দেখা যাবে রাজ্যের শাসক শিবিরে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-call-for-the-movement-was-rejected-by-the-raj-bhavan-and-the-bsnl-workers-organization/
রাহুলবাবু নিজে এই বিষয় নিয়ে একদম স্পিক টু নট হলেও তাঁর বেশ কিছু অনুগামী কিন্তু এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেননি। সব মিলিয়ে এদিনের তৃণমূলের পর্যলোচনা বৈঠক পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে জল্পনার পারদ চড়ছে।
একই সঙ্গে এটাও জানা গিয়েছে রবিবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ দেওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু ২ তারিখের বৈঠকে তিনি যোগ দিলেও দিতে পারেন। ওই সময় মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গে থাকার কথা। সম্ভবত সেখান থেকেই তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন।
এটাও জানা গিয়েছে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে নির্বাচিত দলের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের আলাদা ভাবে বিশেষ বার্তাও দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
কারণ অবশ্যই আগামী বছরের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যে যে ১৩৭টি বিধানসভা আসনে এগিয়ে গিয়েছিল তার একটা বড় অংশই এই উত্তরবঙ্গে।
তাই সময় থাকতে থাকতেই সেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামার জন্য দলের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বিশেষ কিছু নির্দেশ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।