Tmc Working Committee Meeting : জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক আজ, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে অভিষেকের গুরুত্ব চান কর্মীরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সম্প্রতি ঘোষণা হয়েছে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতি ( Tmc Working Committee Meeting )। আজ প্রথম সেই কর্মসমিতির বৈঠক রয়েছে। এদিনই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যাবে সংগঠনের কে কোন পদ সামলাবেন। শুধু তাই নয় দলের আগামী দিনে লড়াইয়ের রূপরেখা কি হতে চলেছে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। আইপ্যাক নিয়ে কি ভাবছে তৃণমূল, এদিনের বৈঠকে ( Tmc Working Committee Meeting ) তা অস্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন কর্মীরা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সাংগঠনিকভাবে দলের সংগঠন কে আরো মজবুত করার একাধিক প্রচেষ্টা এই বৈঠকের ( Tmc Working Committee Meeting ) থেকে উঠে আসবে। শুধু তাই নয় জাতীয় স্তরে সংগঠনের ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করার সম্ভাবনাও প্রবল। সে ক্ষেত্রে সাধারণ সম্পাদকের সংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি তৈরি করা হতে পারে একাধিক নতুন পদ। তৃণমূলের সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে সংগঠনের পাশাপাশি বাকি তিন পুর নিগমের মেয়র পদে ঘোষণা হতে পারে এদিনের বৈঠকের পর।
Tmc Working Committee Meeting
এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে দলের অন্দরে যে ডামাডোল তৈরি হয়েছিল, তাতে ঘৃতাহুতি দিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ নেতৃত্বরা। দল এখন দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে । একদল মমতা পন্থী। যারা চাইছেন আগের মতোই সংগঠনের শেষ কথা বলুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিকে আরেকদল অভিষেক পন্থী। তারা চাইছেন, রাজনীতিতে নবাগতদের নতুন করে সুযোগ দেওয়া হোক। সে ক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেখানো দিশাতেই চলতে চাইছেন তারা।
তৃণমূল সূত্র মারফত জানা গিয়েছে আইপ্যাকের সঙ্গে আলোচনা করেই দলের সমস্ত সিদ্ধান্ত নিতেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ব্যাপক পর্যুদস্ত হওয়ার পর ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসংযোগের ক্ষেত্রে দিদিকে বলো, বাংলা নিজের মেয়েকে চায়, দুয়ারে সরকারের মতো একের পর এক প্রকল্প ঝড় তুলেছে রাজনীতির ময়দানে।
Tajpur :তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক মুখ্য সচিবের
যার ফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন বিধানসভা নির্বাচনে হাতেনাতে। যদিও অনেকেই চাইছেন না দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আইপ্যাকের মতামত নিয়ে চলুন দলনেত্রী। আবার অনেকেই চাইছেন, যে সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্থ নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন তাদেরকে চিহ্নিতকরণের জন্য আইপ্যাকের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
শুক্রবার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হবে সেই বৈঠক। নজর থাকবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাতে কতটা ক্ষমতা থাকলেও সেদিকে। ত্রিপুরা, মেঘালয় , গোয়ার মত রাজ্যগুলিতে যখন সাম্রাজ্য বিস্তারের কথা চিন্তা করছে ঘাসফুল শিবির, তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নেতার প্রথম সারিতে থাকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির তরুণ রাজনীতিবিদরা উদ্বুদ্ধ হবেন। এখন দেখার আজকের বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।