বিরাট অঙ্কের টাকার তোলাবাজির অভিযোগ মালদহের দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মালদহ জেলার মধ্যেই রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সিমান্তবর্তী স্থলবন্দর। প্রতিমাসে ওই বন্দর থেকে প্রায় ১ কোটি ৯৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তোলাবাজি অভিযোগ তুললেন লরি মালিকদের সংগঠন গৌড় ট্রাক অনার্স অ্যাসোসিয়েশন। অভিযোগের নিশানায় রয়েছেন দুই তৃণমূল নেতা প্রসুন ঘোষ এবং চন্দন ঘোষ। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং মুত্তাকিন আলম। সোমবার তৃণমূল সুপ্রিমোর মালদহ সফরের আগেই এই ঘটনা ঘসফুল শিবিরে অস্বস্তি বাড়িয়েছে।

লরি মালিকদের দাবি, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়ে কন লাভ হয়নি। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। মালদহ জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মোউসম বেনজির নুর জানিয়েছেন, এধরনের অভিযোগ আগেও এসেছিল। আবার দলের কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ ক্ষমতায় কে? বিরোধীই বা কারা?

ট্রাক চালকদের অভিযোগ, প্রতিদিন প্রায় ৩০০ ট্রাক মহদীপুর আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর থেকে বাংলাদেশে পণ্য সামগ্রী নিয়ে যায়। অভিযোগ, দুই তৃণমূল নেতা প্রসুন ঘোষ এবং চন্দন ঘোষ প্রতিদিন আড়াই হাজার টাকা করে তোলা আদায় করে। টাকা না দিলে গাড়ি চালকদের মারধর করা হয়। এমনকি পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লরি থেকে ব্যাটারি খুলে নেওয়া এবং পণ্য সামগ্রী চুরি হওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। মাফিয়াদের হাতে লরি চালক এবং খালাসিদের আক্রান্ত হওয়া এখানকার নিত্য দিনের ঘটনা।

লরি মালিকদের তরফে জানানো হয়েছে, জেলাশাসক থেকে পুলিশ সুপার সহ একাধিক মহলে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। শাসক দলের ছাত্রছায়ায় থাকায় দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। তাই বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।

গৌড় ট্রাক অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবী, মহদীপুর স্থলবন্দরে কোনও পার্কিং নেই। ফলে টাকা সরকারের ঘরে যাওয়ার কথা। সেই টাকা লুটপাট করে খাচ্ছে এই মাফিয়ারা। এভাবে চলতে থাকলে তাঁদের পক্ষে সীমান্তে লরি চালানো সম্ভব নয়।

আরও পড়ুনঃ রাজনীতি এখন ইভেন্ট নির্ভর, নিখোঁজ জনগণের মৌলিক অধিকারের প্রশ্ন

বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী। তিনি বলেন, দু’জনের রাজনৈতিক পটভূমি খুব একটা ভালো হবে। যারা সরকার পক্ষে রয়েছেন তাঁরা দেখবেন।

বিষয়টি নিয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্য কোয়ারি। তিনি বলেন, নতুন করে এদের কাছে আর কিছু আশা করা যায় না। এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। মানুষ প্রতিবাদে নামছে। আমরা মানুষের পাশে রয়েছি।

সিপি(আই)এম নেতা অম্বর মিত্র বলেন, বাংলাদেশের সিমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা নতুন কিছু নয়।

সম্পর্কিত পোস্ট