” করোনা ” আবহে ট্রান্সজেন্ডার দিবসে ” ওঁদের ” পশে বন্ধু এক আশা

রাহুল গুপ্ত

“করোনা ” আবহে ট্রান্সজেন্ডার দিবসে ” ওঁদের ” পাশে বন্ধু এক আশা সঙ্গে কলকাতা পুলিশ সাউথ ওয়েস্ট ডিভিশন। পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছেন ওঁরাও। দিন আনে দিন খায় কেউ কেউ রয়েছেন। এবার তাদের পাশেই এসে দাঁড়ালো বন্ধু এক আশা ( সামাজিক সংগঠন ) এবং কলকাতা পুলিশ সাউথ ওয়েস্ট ডিভিশন।

কলকাতার প্রথম ট্রান্সজেন্ডার আইনজীবী মেঘ সায়ন্তনী ঘোষের দেওয়া খবর এসে পৌঁছায় বন্ধু এক আশা-র সভাপতি প্রীতম সরকারের কাছে। সেই খবরের সূত্র ধরে জানা যায় কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার গড়িয়া অঞ্চলে বেশ কয়েকজন ট্রান্সজেন্ডার করোনা গ্রাসে পরিস্থিতির স্বীকার ।

তারপরই ( ১৫ই এপ্রিল ) ওঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়ায় প্রীতম সহ তাঁর ব্রিগেড। টালিগঞ্জ এবং গড়িয়ার বেশ কয়েকজন ট্রান্সজেন্ডারের হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সামগ্রী। করোনা গ্রাসে খুব কষ্টেই আছেন ওঁরা। তাই এই খাদ্যদ্রব্য সামগ্রী পেয়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হলেন।

ট্রান্সজেন্ডার আইনজীবী মেঘ সায়ন্তনী ঘোষ জানান ” বন্ধু এক আশা কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে ভাবে ওনারে পাশে এসে দাঁড়ালেন। ধন্যবাদ জানাবো কলকাতা পুলিশকে । পাশাপাশি ধন্যবাদ জানাবো অধ্যাপিকা নুপুর রায় কেও। যেকোনো প্রয়োজন হলে আমি থাকবো এই কাজে ।”

বন্ধু এক আশা-র সভাপতি প্রীতম সরকার জানান ” আমরা কাজ করতে চাই একেবারে প্রান্তিক মানুষের কাছে গিয়ে , আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। ধন্যবাদ জানাবো কলকাতা পুলিশকেও । ”

তিনি জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যাতে সমাজের তৃতীয় লিঙ্গের কোনো মানুষ যাতে অসুবিধায় না পড়েন , আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

অধ্যাপিকা নুপুর রায় বলেন ” আজকের এই কঠিন সময়ে আসুন সবাই হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করি। আমি চাই আমার সাধ্যমত ওঁদের পাশে থাকতে। ” তিনি ধন্যবাদ জানান ট্রান্সজেন্ডার আইনজীবী মেঘ সায়ন্তনী ঘোষকে এই খবর বন্ধু এক আশা কে জানানোর জন্য।

উল্লেখ্য গত সোমবার ফেস বুক লাইভ এর মাধ্যমে এই খবর এসে পৌঁছায় বন্ধু এক আশার অফিসিয়াল ফেস বুক পেজে। তারপরই দ্রুত ওঁদের পাশে দুদিনের মধ্যে পৌঁছে যান বন্ধু এক আশার সদ্যসরা।

সম্পর্কিত পোস্ট