নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী, আজ কলকাতায় নামছেন শুভেন্দু

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক:   মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে সভার দিনেই প্রথমবার কলকাতার রাজপথে নামছেন শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতার রাজপথে বললেও কিছু ভুল হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির পদযাত্রা হবে।

দুপুর আড়াইটেয় টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশন থেকে রাসবিহারী মোড় পর্যন্ত হবে পদযাত্রা। দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপির উদ্যোগে হওয়া এই পদযাত্রায় শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও হাজির থাকবেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, থাকবেন শোভন-বৈশাখীও।

একদিকে যখন আজ পাঁচ বছর পর শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে সভা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন মমতার খাসতালুকে শুভেন্দুর পদযাত্রা যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

যদিও আজ মমতার সভায় থাকছেন না অধিকারী পরিবারের বাকি দুই সদস্য। এমনিতেই শান্তিকুঞ্জ- এ এখন রাজনৈতিক পাটিগণিতের হিসাব ২-২।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/shishir-adhikari-will-not-be-present-at-the-cms-meeting-in-nandigram-on-monday/

নন্দীগ্রামে এই সভা হওয়ার কথা ছিল ৭ জানুয়ারি।  তৃণমূলের তরফে এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই হুঙ্কার দিয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন পরেরদিনই মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা সভা করবেন তিনি। তবে তবে অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সে সভা বাতিল করেন মুখ্যমন্ত্রী।

পরে ১৮ ই জানুয়ারি সভার দিনক্ষণ ঠিক হয়। শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা বলেন ১৯ জানুয়ারি ফের সভা করে এর উত্তর দেবেন তিনি।

রাজনৈতিক মহলের মতে লড়াই হবে এবার ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে সেটাই স্পষ্ট করতে চাইছেন যুযুধান দুই পক্ষ। নন্দীগ্রামে যে একচ্ছত্র শুভেন্দু অধিকারী অধিকারী পরিবারের রাজত্ব আর চলবেনা সেটা যেমন বার্তা দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। তেমনই পাল্টা দক্ষিণ কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে খাসতালুক তাও কিন্তু নয়।

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিজেপি লড়াই বেশ জোরদার হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন আসনে। রাসবিহারী, ভবানীপুর, বেহালা পূর্ব-পশ্চিম, কসবা বালিগঞ্জ সবকটি আসনেই তৃণমূল বিজেপির পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য ফলাফল ছিল বাম- কংগ্রেসের।

তবে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন গুলিয়ে ফেললে চলবে না জেলা ছেড়ে বাইরে এসে শুভেন্দু অধিকারী কলকাতার নেতাদের বার্তা দিতে চাইছেন সেটা তার সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং কার্যকলাপে স্পষ্ট। একে অপরের স্থান বদল করে জনসভা থেকে কে কি বার্তা দেন আপাতত সে দিকেই নজর রাজ্যবাসী।

সম্পর্কিত পোস্ট