একদিকে পরিবর্তন যাত্রা অন্যদিকে জনসমর্থন যাত্রা- চৈতন্য প্রভাবিত জেলায় রাজনীতির নয়া সমীকরণ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ঝড় তুলতে ফের নতুন করে বিজেপির রথযাত্রার সূচনা হচ্ছে শনিবার থেকেই। পাঁচটি রথের প্রথম রথটি উদ্বোধন করতে শুক্রবার রাতেই কলকাতা পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

বিজেপি সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর তিনটে নাগাদ নবদ্বীপ থেকে পরিবর্তন রথযাত্রার সূচনা করবেন জেপি নাড্ডা। দুদিন ধরে চলবে এই কর্মসূচি। শেষ হবে ব্যারাকপুরে।

বিজেপি তরফে আরও জানানো হয়েছে, এই পরিবর্তনের নদিয়া উত্তর 24 পরগনা জেলার পনেরোটি বিধানসভা কেন্দ্র ঘুরবে এই দুই দিনে। এক্ষেত্রে বলে রাখা প্রয়োজন বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার।

উল্লেখ্য বিজেপির এই কর্মসূচির পাল্টা বাইক মিছিল করতে চলেছে নদীয়ার তৃণমূল যুব কর্মীরা। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রায় ১০ হাজার বাইক ও ট্যাবলো নিয়ে মিছিল করতে চলেছে তারা। তৃণমূলের তরফে এই বাইক মিছিলের নাম দেওয়া হয়েছে জনসমর্থন যাত্রা। প্রায় একই রুটে আটটি বিধানসভা কেন্দ্র পরিদর্শন করবে তৃণমূলের বাইক মিছিল।

বঙ্গ সফরে নাড্ডা, সহভোজের আয়োজন ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে

ফলে একই দিনে, একই জায়গায় এই দুই বড় কর্মসূচি থাকায় স্বাভাবিকভাবেই অশান্তির আশঙ্কায় ভুগছেন অনেকেই। শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতেও নদীয়া জেলা প্রশাসনের তরফে তৎপরতা নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র অশান্তি নয়, থাকছে ব্যাপক যানজটের আশঙ্কা।

৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক যানজটে অবরুদ্ধ হলে ব্যাহত হতে পারে উত্তরবঙ্গগামী যান চলাচল।

অন্যদিকে শাসক-বিরোধী দুপক্ষের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বাকযুদ্ধে নেমে পড়েছে দুই দলই। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, পরিবর্তন রথযাত্রারকে নকল করেই জনসমর্থন যাত্রায় নেমেছে তৃণমূল।

পাল্টা তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার অনেক আগে থেকেই এই কর্মসূচি স্থির করা হয়েছিল শাসক শিবিরের তরফে।

বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সরাসরি রাজ্যকে নিশানা করে জানিয়েছেন, এই দুই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোনরকম অশান্তি যাতে না হয় পরিস্থিতি যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে তার সমস্ত দায় জেলা প্রশাসনের ওপর নির্ভর করবে। কোনরকম বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও তার দায় বর্তাবে স্থানীয় প্রশাসনের ওপর।

প্রসঙ্গত অনেক পালাবদলের রাজনীতির সাক্ষী থেকেছে চৈতন্যে প্রভাবিত জেলা নবদ্বীপ। আপাতত দেখার চৈতন্যের মাটি থেকে একদিকে পরিবর্তন যাত্রা ও অন্যদিকে জনসমর্থন যাত্রার সূচনা হলেও রাজনৈতিক দলগুলির আদৌ চৈতন্য ফেরে কিনা।

সম্পর্কিত পোস্ট