২০৪১ সালের বাংলাদেশ গড়ার কারিগর আজকের মেধাবীরা : হাসিনা

২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার গণভবনের শাপলা হলে আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক অনুষ্ঠানে’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন

||আবু আলী, ঢাকা||

আজকের মেধাবী শিক্ষার্থীরা ২০৪১ সালের বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ব স্ব বিভাগে আজ যারা পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণপদক পেল তারা ২০৪১ সালের বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।

২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার গণভবনের শাপলা হলে আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক অনুষ্ঠানে’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আগামী প্রজন্মের ভাগ্য শিক্ষকদের ওপর নির্ভর করে। জাতির পিতার এই কথাটা আপনারা মনে রাখবেন। তারা (শিক্ষার্থীরা) যেন সেভাবেই শিক্ষা পায়। আমাদের ছেলেমেয়েরা মেধাবী। প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে তারা আরও মেধাবী হয়ে গড়ে উঠছে।’

হাসিনা বলেন, ‘ভবিষ্যতে দেশটা কীভাবে চলবে তার একটা পরিকল্পনা আমরা রেখে যাচ্ছি। আজকে যারা শিক্ষার্থী, আগামী দিনে তারাই দেশটাকে গড়ে তুলবে।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে আরো জাপানী বিনিয়োগের আহ্বান হাসিনার

শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন,‘বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। মেরিটাইম ও অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি করছি। আগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, তাও করেছি। এখন প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব। বিজ্ঞান শিক্ষাকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য অনেক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত ছাত্র-ছাত্রী থাকবে সেটাও ঠিক করে দেওয়া হবে। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে চাই।’

হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা ২১০০ সালের যে ডেল্টাপ্ল্যান গ্রহণ করেছি সে অনুযায়ী আমাদের ছেলে-মেয়েরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারবে-এ বিশ্বাস আমার আছে। আজ ছেলেদের চাইতে মেয়েরা বেশি স্বর্ণপদক পেয়েছে। ছেলেরা পিছিয়ে থাকবে কেন? আগামীতে ছেলেরা যেন কমপক্ষে সমান সমান হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। দুষ্টমি না করে ছেলেদের আরও পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে।’

বুধবার দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে সর্বোচ্চ নম্বর/সিজিপিএ অর্জনকারী ১৭২ জন শিক্ষার্থী ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ পেয়েছেন। এর মধ্যে ৮৮ জন ছাত্রী ও ৮৪ জন ছাত্র।

সম্পর্কিত পোস্ট