“তোলাবাজ ভাইপো হটাও” বিজেপিতে যোগদান করেই সুর চড়ালেন শুভেন্দু
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রত্যাশা মতোই সোমবার বিজেপিতে যোগদান করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার মেদিনীপুরে বিপুল জনসমাবেশের মধ্যেই বিজেপিতে যোগদান করলেন গত কয়েকদিন সংবাদমাধ্যমে নিউক্লিয়াসে থাকা বাংলার রাজনীতির অন্যতম হেভিওয়েট নেতা। শুধুমাত্র শুভেন্দু নয়, এদিন বিজেপিতে যোগদান করলেন এক ঝাঁক হেভিওয়েট নেতৃত্ব। শুধুমাত্র তৃণমূল নয়, কংগ্রেস এবং সিপি(আই)এম থেকেও অনেকে বিজেপিতে যোগদান করলেন।
তবে আলোচনার লাইম লাইটে থাকা শুভেন্দু এদিন বিজপিতে যোগদান করেই সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন। শুরুতেই অবিভক্ত মেদিনীপুরের ইতিহাসে কথা উঠে এল শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে। এর আগে যখন একাধিক অরাজনৈতিক জনসভা করেছিলেন শুভেন্দু, সেখানেও উঠে এসেছিল মেদিনীপুরের ইতিহাস নিয়ে একাধিক বক্তব্য। এদিনের বক্তব্যেও উঠে এল সেই প্রসঙ্গ। তাম্রলিপ্ত সরকার, শহীদ ক্ষুদিরাম, মাতঙ্গিনী হাজরা এবং বিদ্যাসাগরের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
সেইসঙ্গে নিজের ক্ষোভের কথাও উগড়ে দিলেন তিনি। শনিবার মেদিনীপুরের ময়দান থেকে শুভেন্দু বলেন, অমিত শাহ জীর সঙ্গে আমার অনেক আগের সম্পর্ক অশোক রোডে পুরানো পার্টি অফিসে তাঁর সঙ্গে প্রথমবার দেখা হয়েছিল। আমি কোভিড আক্রান্ত হওয়ার সময় দু’বার ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২১ বছর ধরে যে দলের জন্য তিনি লড়াই করেছেন, সেই দলের একজনও ফোন করে খবর নেয়নি।
আরও পড়ুনঃ আজকের দিনেই বাংলাকে ব্রিটিশের হাতে তুলে দিয়েছিল মীরজাফর, শুভেন্দুকে কটাক্ষ তৃণমূলের
সেইসঙ্গে দলীয় নেতৃত্বকে স্পষ্ট করে দিলেন, শুভেন্দু অধিকারী কোনও কলম চালাবেন না। দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশমতো কাজ করবেন তিনি। দরকার পড়লে পতাকা লাগাবেন, দেওয়াল লিখন করবেন। তিনি মনে করিয়ে দেন ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন তিনি। সিড়ি ভেঙে উঠেছেন।
তৃণমূলের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, অনেকে বলছেন মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে। মেদিনীপুরের সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দেগে বলেন আমার মা জন্মদাত্রী মা। আর একজন দেশমাতা। এছাড়া আমার মা আর কেউ নয়। একের পর এক কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম বদল করে চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। বেকার যুবকদের শুধুমাত্র ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে চাকরী দেওয়া হচ্ছে। টেট, প্রাইমারী, এসএসসির কোনও নিয়োগ নেই। তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে কাল থেকেই প্রচার শুরু করবেন জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে শ্লোগান দিলেন “তোলাবাজ ভাইপো হটাও”।