রাত পোহালেই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো, লকডাউনে কমেছে চাহিদা, মাথায় হাত শিল্পীদের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দুর্গাপুজো হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান ছিল বাংলা। তারপর নানান বিধিনিষেধ পার করে শেষ হয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। এবার ঘরে ঘরে ধন দেবীর আরাধনার সময়। এখানে বারোয়ারী পূজার দাপট নেই। যে যার সামর্থ্য মত লক্ষ্মীর আরাধনায় ব্রতী হয়।

পটের লক্ষ্মী,ছাঁচের লক্ষ্মী,কাঠামোর লক্ষ্মী ঠাকুর যাঁর যেমন সামর্থ্য তেমন ঠাকুর ঘরে এনে পূজা করেন। মূলত পট ও ছাঁচের ঠাকুরের চাহিদা বেশী থাকে।

চতুর্থী থেকে ষষ্ঠীর মধ্যে দুর্গা ঠাকুর পালদের ঘর থেকে বের হলেই গতি আসে লক্ষ্মী ঠাকুর বানানোর। আর দত্তপুকুরের পাল পাড়ায় সারা বছর ধরে চলে নানান ঠাকুর তৈরির কাজ। এবার করোনা অতিমারির জেরে, সেই সারা বছরের ঠাকুর তৈরীর কাজটা প্রায় বন্ধ মার্চ মাসের পর থেকেই।

এখন শয়ে শয়ে লক্ষ্মী ঠাকুর তেরী হচ্ছে সত্য পাল,হরিদাস পালের কারখানায়। ঘরের বারান্দা থেকে বাড়ির ছাদ সর্বত্র লক্ষ্মী মুর্তির ছড়াছড়ি। কোনটার গায়ে এক প্রলেপ রং লেগেছে। আবার কোনটা এখনও কাঁচা।

সত্য পালের কথায়, দুর্গাপুজো হচ্ছে এটা পরিস্কার হওয়ার পর থেকেই কাছে পিঠের খরিদ্দারদের অর্ডার আসতে শুরু করে। দূরের খরিদ্দার এবার তেমন একটা নেই। ট্রেন বন্ধ। বাসে ভীড়। তাই খরিদ্দার কম। তাহলে কি লক্ষ্মী ঠাকুরের চাহিদা নেই?

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-wife-of-the-deceased-and-her-boyfriend-were-arrested-in-the-gaighata-murder-case/

সত্য পালের জবাব, না দাদা। এবারও আগের বারের কাছাকাছি চাহিদা আছে। কিন্তুু লকডাউনের সময় কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছিল। পুঁজিতে টান রয়েছে। তাই ১৫ টা লেবারের বদলে ৮ জনকে দিয়ে কাজ করছি। আগের বছর ৮ হাজারের মত ঠাকুর তৈরী করেছিলাম আর এবার হাজার চারেক ঠাকুর বানাচ্ছি।

একই কথা হরিদাস পালের। তিনি জানান করোনা আর আমফান ঝড়ে তাদের পালেদের কাজের ব্যপক ক্ষতি করেছে। তার উপর সরকারের কোন সাহায্য তাদের কাছে পৌঁছায়নি।

কারখানায় বসে লক্ষ্মীর চোখে তুলির টান দিতে দিতে ঠাকুর তৈরীর কারিগর খোখন ঘড়াই এর দাবী এবছর টা সত্যই বড্ড খারাপ গেলো।গাড়ি করে ঠাকুর এখন যাচ্ছে ঠিকই। কিন্তুু আগের মত খরিদ্দার কই?

সম্পর্কিত পোস্ট